নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১৫ মার্চ ৷৷ স্থাপনের পর থেকে সংবাদের শিরোনামে উঠে আসে উত্তর জেলার খেরেংজুরিস্থিত জওহর নবোদয় বিদ্যালয়৷ ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক মানসিক নির্যাতন থেকে শুরু করে নানা অপকর্ম সংঘটিত হয় এই বিদ্যালয়ে৷ রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের সাথে দুর্ব্যবহার করেছিলেন তৎকালীন প্রিন্সিপাল৷আর কে মিনার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ থাকায় তাকে এখান থেকে বদলি করে নতুন একজন প্রিন্সিপাল সন্দীপ কুমারকে আনা হয়৷ সন্দীপ কুমারের সাথে ক্যান্টিন পরিচালক দেব মনির বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক৷
দুজনেই দিল্লির বাসিন্দা৷ সেই সুবাদে নবোদয়ের দ্বিতীয় প্রিন্সিপাল বলতে দেবমণিকেই বোঝায়৷ ক্যান্টিনে খাবার ভালো হয়না৷ ছাত্রছাত্রীরা অভিযোগ করলে তাদের এক এক করে প্রিন্সিপালের রুমে ডেকে নিয়ে মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ৷ আরো হুমকি দেওয়া হয় টিসি হাতে ধরিয়ে সুকল থেকে বিদায় করে দেওয়া হবে৷এমনকি কিছু ছাত্রকে বর্তমানে সাসপেন্ড করে রাখা হয়েছে৷ খাবারের অযোগ্য খাবার দেওয়া হয় বলেও ছাত্রদের অভিযোগ৷বেশ কয়েকমাস ধরে খেরেংজুরিসিত জওহর নবোদয় বিদ্যালয়ের এই দুই বন্ধুর কর্মকাণ্ডে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে৷ শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ ক্যান্টিন ইনচার্জ দেবমণির সাথে এলডিসি ক্লার্ক এক মহিলা কর্মীকে অবৈধ কাজে দেখে ফেলে ছাত্রছাত্রীরা৷ তাও আবার প্রিন্সিপালের কোয়ার্টারে এ ধরনের কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে৷
তৎক্ষণাৎ ক্ষোভে ফুঁসে প্রিন্সিপালের রুমের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে ছাত্রছাত্রীরা৷অষ্টম থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছাত্রীরা এ আন্দোলনের অংশ গ্রহণ করে৷ সন্ধ্যা থেকে রাত্রি ১০ ঘটিকা পর্যন্ত আন্দোলন চলে৷ ছাত্রছাত্রীরা প্রিন্সিপাল ও ক্যান্টিন ইনচার্জের অপসারণ দাবি করে৷ ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ডিসি মানিক চক্রবর্তী, এসডিপিও রাজিব সূত্রধর, চুরাইবারি থানার ওসি জয়ন্ত দাস সহ বিশাল পুলিশবাহিনী৷ ডিসি মানিক চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রদের কাছ থেকে তাদের অভিযোগ সবিস্তারে শুনেন৷ তারপর ছাত্রদের একটি লিখিত অভিযোগ ডিসি মহোদয়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়৷ ডিসি মানিক চক্রবর্তী ছাত্রদের আশ্বস্ত করেন যে, আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার জেলা শাসকের নিকট অবগত করে ঘটনাটি দেখবেন৷ উনার আশ্বাসে আশ্বস্ত হয়ে ছাত্ররা তাদের বিক্ষোভ প্রত্যাহার করে৷

