নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ মার্চ৷৷ করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে ত্রিপুরা থেকে প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশে দুই দেশের নাগরিকদের আসা-যাওয়া বন্ধ হয়ে গেছে৷ কিন্তু, পণ্য আমদানি-রফতানি এখনও প্রভাবিত হয় নি৷ ভারত সরকার সমস্ত ভিসা বাতিল করেছে, তাই বাংলাদেশী নাগরিক ত্রিপুরায় আসতে পারছেন না৷ তবে, এপাড়ে রয়ে গেছেন বাংলাদেশী নাগরিকরা দেশে ফিরে যেতে পারছেন৷ ত্রিপুরার আমদানি-রফতানিকারক সংগঠনের দাবি, আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি চালু রয়েছে৷ কিন্তু, শ্রীমন্তপুর এবং মুহুরীঘাট ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷
এ-বিষয়ে আগরতলা স্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার কিরীটি চাকমা বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় নেওয়া সতর্কতামূলক পদক্ষেপে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক প্রভাব পড়েছে কিনা, তা এখনই বলা সম্ভব নয়৷ তবে, কিছুটা প্রভাব পড়বে তা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই৷
এদিন আগরতলা ল্যান্ড পোর্ট ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী বলেন, বাংলাদেশের কোন নাগরিককে ত্রিপুরায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না৷ কারণ, ভারত সরকার সমস্ত ভিসা বাতিল করেছে৷ তবে, পণ্য আমদানি এবং রফতানি উভয়ই চালু রয়েছে৷ আমদানি-রফতানিকারক সংগঠনের জনৈক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি চালু রয়েছে ঠিকই৷ কিন্তু, শ্রীমন্তপুর এবং মুহুরীঘাট ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ কারণ, সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং কোয়ারেন্টাইন-র কোন ব্যবস্থা নেই৷ সূত্রের খবর, আগামী সোম অথবা মঙ্গলবার থেকে আগরতলা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়েও পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ অবশ্য, এমন কোন নির্দেশিকা ভারত সরকার এখনও জারি করেনি বলে জানিয়েছেন আগরতলা ল্যান্ড পোর্ট-র ম্যানেজার দেবাশীষ নন্দী৷
করোনা ভাইরাস নিয়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি সম্পর্কে আগরতলাস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনার কিরীটি চাকমা বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সতর্কতা অবলম্বন করেছে৷ ওই ভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও নিয়েছে৷ তাই,ভারত সরকার সমস্ত ভিসা বাতিল করেছে৷ তিনি আরও বলেন, বিশেষ প্রয়োজনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকের রিপোর্ট নিয়ে ভিসা-র আবেদনে সম্মতি দেওয়া হবে, ভারত সরকারের নির্দেশিকায় এমন কোন কথা উল্লেখ নেই৷ ভারত সরকার সমস্ত ভিসা বাতিল করেছে৷ তাতে, মেডিকেল ভিসাও বাতিল হয়েছে৷ এদিকে, করোনা ভাইরাসের জন্য উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে ইন্দো-বাংলা বাণিজ্যে কেমন প্রভাব পড়বে তা এখনই অনুমান করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি৷ তাঁর কথায়, এই পরিস্থিতিতে বাণিজ্যে কিছুটা প্রভাব পড়া অস্বাভাবিক নয়৷ তবে, সমস্ত প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠতে আমরা সক্ষম, দাবি করেন তিনি৷ কিরীট চাকমা বলেন, এখন ত্রিপুরায় অবস্থিত বাংলাদেশী নাগরিকরা দেশে ফিরে যাচ্ছেন৷ কিন্তু, আগামীকাল থেকে সমস্ত ইন্টিগ্রেটেড চেক পোস্ট দিয়ে মানুষের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হচ্ছে৷

