টেস্ট উত্তীর্ণ হলেও পর্ষদের দ্বাদশ পরীক্ষায় বসতে পারছে না ছাত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ মার্চ৷৷ কুলাই দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ে ছাত্রী দিয়া দেব৷ কুলাই উওর নালিছড়ার স্থানীয় বাসিন্দা সি আর পি এফ জওয়ান দেবাশিস দেবের কন্যা দিয়া দেব এবছরের উচ্চমাধ্যমিকে কলা বিভাগের পরীক্ষার্থি৷ সে কুলাই দ্বাদশ বিদ্যালয় থেকেই পড়াশুনো করেছে৷ কিন্তু সুকলের টেস্ট পরীক্ষা উতরে যাবার পর সুকল কর্তৃপক্ষ দিয়াকে ফর্ম পূরণ করার জন্য ডাকেনি বলে অভিযোগ৷ ফলে যথারীতি তার অ্যাডমিট কার্ড আসেনি৷ সুকল কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয় জানিয়ে সুরাহার আবেদন করেছেন দিয়ার বাবা দেবাশিস দেব৷


গত ২৫ ফেব্রুয়ারি এই বিষয়ে আবেদন জানানো হয়৷ চারদিন কেটে গেলেও হিল্লে হল না বিষয়টির৷ এখন পরীক্ষা দোরগোড়ায়৷ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা৷ ফলে কার্যত দিশেহারা পরীক্ষার্থি দিয়া ও তার অভিভাবক৷ দীয়ার মা অভিযোগ করেন সুকল কর্তৃপক্ষের জন্যই তাঁর মেয়ের একটি বছর নষ্ট হয়ে গেছে৷এক সাক্ষাতারে দিয়া জানায় সুকল কর্তৃপক্ষ থেকে দিয়া খবর পায়নি ফর্ম পূরন করার জন্য৷ যার ফলে তার এডমিট আসেনি৷ এবছর পরীক্ষায় বসতে পারবেনা সে৷ রেজিস্ট্রেশন নিলেও ফর্ম ফিলাপের জন্য কোন বিষয় জানানো হয়নি৷ যে কারণে এডমিট কার্ড পায়নি সে৷ তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হয় এই বিষয়ে আর পরীক্ষা দেওয়া হবে না তাঁর৷


পরে বিষয়টি নিয়ে কুলাই দ্বাদশশ্রেনী বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নজরে এসেছে৷ কিন্তু টেস্ট পরীক্ষার রেজাল্ট দেওয়ার সময় সুকলের বোর্ডে ফর্ম পূরন করার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়েছে৷ এই বিষয়টি নিয়ে তিনি উচ্চপদস্থ আদিকারিকদের সাথে কথা বলেছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন৷ প্রশ্ণ উঠেছে সুকল কর্তৃপক্ষের দায়িত্ববোধ নিয়ে৷ একই সঙ্গে প্রশ্ণ উঠেছে একমাত্র কলা বিভাগের এই ছাত্রীই কেন এডমিট কার্ড পেলনা৷ কেন অন্যরা জানলেও এই ছাত্রী জানল না ফর্ম ফিলাপের দিনক্ষনের বিষয়ে৷ এই সমস্ত প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *