খাদ্য দপ্তরের অভিযানে ছত্রাক পড়া ও ভেজাল খাবার মিলল হোটেলে, ব্যবসা বন্ধ রাখার নির্দেশ অশোক ও চন্দনাকে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ ফেব্রুয়ারী৷৷ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশিত হচ্ছে আগরতলার বিভিন্ন হোটেলে৷ সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নেমেছে সদর মহকুমা প্রশাসন৷ বুধবার একটি হোটেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার এবং নোংরা রান্নাঘর সরেজমিনে পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট হোটেলের লাইসেন্স সাময়িক বাতিল করেছেন সদর মহকুমাশাসক অসীম দাস৷


আগরতলায় বিভিন্ন হোটেলে খাবারের গুণমান বজায় রাখা হচ্ছে না৷ এমন অভিযোগ আগেও উঠেছে৷ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে৷ তাছাড়া, দু-তিনদিনের বাসি খাবারও মানুষের পাতে পড়ছে, সেই অভিযোগও রয়েছে৷ কিন্তু কখনও প্রশাসনের তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ শুধু হোটেল নয়, রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে স্ট্রিট ফুড-এর এখন দারুণ চাহিদা৷ কিন্তু ওইসব খাবারে গুণমান কতটা বজায় রাখা হচ্ছে, সে নিয়ে প্রশ্ণ ওঠা অস্বাভাবিক বলে মনে হচ্ছে৷ অভিযোগ, বিভিন্ন মিষ্টি প্রস্তুতকারক সাংঘাতিক অস্বাস্থ্যকর পদ্ধতিতে মিষ্টি তৈরি করছেন৷ ফলে, ত্রিপুরায় বিশেষ করে আগরতলায় মানুষ পেটের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভুগছেন৷


আজ ডেপুটি ফুড সেফটি কমিশনার এবং মেট্রোলজি বিভাগকে সাথে নিয়ে বিভিন্ন হোটেল পরিদর্শনে যান সদর মহকুমাশাসক৷ বহু পুরনো এবং আগরতলায় অন্যতম প্রসিদ্ধ হোটেল চন্দনা হোটেলে গিয়ে মহকুমা প্রশাসনের চোখ চড়ক গাছ হয়ে যায়৷ সদর মহকুমাশাসক জানিয়েছেন, দু-তিন দিনের বাসি খাবার বিক্রির জন্য রাখা ছিল৷ তাছাড়া, ওই হোটেলের রান্নাঘরও ভীষণ নোংরা৷ এতটা অস্বাস্থ্যকর কোনও খাবারের হোটেল হতে পারে, তা ভাবতে পারছেন না তিনি৷ তাঁর কথায়, খাবারের গুণমান এবং মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিয়ে কোন আপস করা হবে না৷ তাই, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং স্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন না করা পর্যন্ত ওই হোটেলের লাইসেন্স সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, আগরতলায় সমস্ত হোটেলে অভিযানে যাবে মহকুমা প্রশাসন৷ কোনও অব্যবস্থা ধরা পড়লেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, কড়া বার্তা দিলেন তিনি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *