নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ ফেব্রুয়ারী৷৷ ক্যাডার সার্ভিসের মাধ্যমে রাজ্যে সরকারি আইনজীবি নিয়োগের চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য সরকার৷ শীঘ্রই এ বিষয়ে মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হবে৷
সূত্রের খবর, ত্রিপুরা হাইকোর্ট সহ রাজ্যের সমস্ত আদালতে টিপিএসসি’র মাধ্যমে সরকারি আইনজীবি নিয়োগ করার চিন্তা ভাবনা চলছে৷ বর্তমানে সারা রাজ্যে ১২৩ জন সরকারি আইনজীবি রয়েছেন৷ তাদের নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে নিয়োগ করা হয়েছে৷ অভিযোগ, পূর্বতন সরকারের আমলে বাম সমর্থিতরাই অধিকাংশ সরকারি আইনজীবি নিযুক্তি পেয়েছেন৷ রাজ্যের সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে সরকারি আইনজীবি নিয়োগ করেছে৷ কিন্তু, তাতেও বিপত্তি দেখা দিয়েছে৷ ওই নিয়োগ ত্রিপুরা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ হওয়ায় রাজ্য সরকার সরকারি আইনজীবি নিয়োগে নয়া পদ্ধতি অবলম্বন করার তাগিদ অনুভব করছে৷
সূত্রের খবর, সরকারি আইনজীবিদের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে৷ ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ২ কোটি ৯৪ লক্ষ ৪৩ হাজার ১০০ এবং ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ২ কোটি ৯৮ লক্ষ ৫২ হাজার ৩৭৯ টাকা সরকারি আইনজীবিদের বেতন-ভাতা খাতে রাজ্য সরকার খরচ করেছে৷ বর্তমানে সরকারি আইনজীবিদের ভাতা প্রদানের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে৷ তাতে এডভোকেট জেনারেল সর্বোচ্চ১ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা, হাইকোর্টের পিপি ৯৩ হাজার ৪০০ টাকা এবং হাইকোর্টের এপিপি ৬৬ হাজার ৫০ টাকা সর্বোচ্চ দাবি করতে পারবেন৷ এদিকে, ত্রিপুরা হাইকোর্টে সরকারি আইনজীবি ৬৬ হাজার ৬৫০ টাকা, সহকারি সরকারি আইনজীবি ৬৬ হাজার ৬৫০ টাকা, জেলা ও দায়রা আদালতের পিপি ৬১ হাজার ৪০০ টাকা, জেলা ও দায়রা আদালতের সরকারি আইনজীবি ও সহকারি সরকারি আইনজীবি ৬১ হাজার ৪০০ টাকা সর্বোচ্চ দাবি করতে পারবেন৷ তেমনিই এক্সিকিউটিভ কোর্টের এপিপি ৩৩ হাজার ৭০০ টাকা এবং স্পেশাল পিপি ৬১ হাজার ৪০০ টাকা সর্বোচ্চ দাবি করতে পারছেন৷
সূত্রের খবর, রাজ্য সরকার সরকারি আইনজীবিদের স্থায়ি নিযুক্তি দিতে চাইছেন৷ তাছাড়া, এপিপি নিয়োগে সাম্প্রতিক বিতর্ক এড়াতেও টিপিএসসি’র মাধ্যমে সরকারি আইনজীবি নিয়োগ সহায়ক হবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার৷