BRAKING NEWS

কৃষিই ভারতের অর্থনীতির মেরুদণ্ড তাই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ ফেব্রুয়ারী৷৷ কৃষিই ভারতের অর্থনীতির মেরুদণ্ড৷ তাই, কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের কল্যাণ সরকারের অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র৷ আজ গোমতি জেলার কাকড়াবনে জেলা শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (ডায়েট) প্রাঙ্গণে তিন দিনব্যাপী গোমতি জেলাভিত্তিক কিষাণ মেলা ও প্রদর্শনী ২০২০-এর উদ্বোধন করে এ-কথা বলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তাঁর কথায়, কৃষি হচ্ছে ভারতের আত্মা৷ দেশের বা রাজ্যের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে হলে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কৃষির উন্নয়ন ঘটাতে হবে৷ তাঁর মতে, এই উন্নয়নের মূল চালিকাশক্তি হল কৃষক৷ তাই ত্রিপুরা সরকার কৃষক ও কৃষি কল্যাণে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সময়োপযোগী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কৃষকরা যাতে উন্নত ফসল ফলানোর মাধ্যমে নিজেদের স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে পারে ত্রিপুরা সরকার সেই দিশায় কাজ করে চলছে৷


তিনি বলেন, রাজ্যের অর্থনৈতিক বিকাশে কৃষি, মৎস্য, পশুপালন, দুগ্দ উৎপাদন দফতরগুলি বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে৷ সরকার প্রয়োজনীয় নীতি নির্ধারণ করবে, কিন্তু বাস্তবায়িত করার জন্য সব অংশের জনগণের অংশগ্রহণ ও স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি৷ এই কাজে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন৷ তাঁর কথায়, ফুড কপর্োরেশন অব ইন্ডিয়া (এফসিআই)-র মাধ্যমে কৃষকদেরর কাছ থেকে সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় ত্রিপুরার জন্য এক নতুন দিশা৷ বিগত অর্থ বছরে রাজ্যের ২ লক্ষ ২১ হাজার কৃষক এফসিআই-এর কাছে ধান বিক্রয় করে আর্থিক দিক দিয়ে লাভবান হয়েছেন৷
তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত ২ হাজার হেক্টর কৃষিজমি জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে৷ ভবিষ্যতে আরও ৩ হাজার হেক্টর জমি জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদের আওতায় আনা হবে৷

তাঁর আরও দাবি, মৎস্যচাষে রাজ্যকে স্বয়ম্ভর করার লক্ষ্যে গোমতি জেলার কাকড়াবনে সুখসাগরজলাকে সংস্কার, ছোট ছোট পুকুর খনন ও সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে চারাপোনা চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারলে মৎস্য উৎপাদনের পাশাপাশি রাজ্যের আর্থিক উন্নয়ন তরান্বিত হবে৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এমজিএনরেগা প্রকল্পে আগের তুলনায় বর্তমানে অধিক শ্রমদিবস সৃষ্টি করে গ্রামীণ জনগণের কাছে আর্থিক সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে৷ কাকড়াবন প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সামাজিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে উন্নীত করা হয়েছে৷ তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি যোজনায় কাকড়াবন ব্লকে মোট ৩ হাজার ৮১৭ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন৷ এই প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের ৩ কিস্তিতে ৬ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, আগামী ২০২২ সালের মধ্যে রাজ্যের সমস্ত পরিবারে পাইপ লাইনে পরিস্রোত পানীয়জল পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে৷ এর জন্য রাজ্য সরকার অটল জলধারা যোজনা চালু করেছে৷ এ প্রসঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাগুলি যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য জনগণের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেছেন৷


তিনি আরও বলেন, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের আর্থিক বরাদ্দ পাওয়ার পর চলতি কাজগুলি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করা হবে৷ পরিশেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গান্ধীজির স্বপ্ণকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়নের মাধ্যমে গ্রাম স্বরাজ অভিযান কর্মসূচি চলছে৷ তাঁর মতে, গ্রামের উন্নয়ন হলেই রাজ্যের উন্নয়ন হবে৷ রাজ্যের উন্নয়ন হলে দেশের উন্নয়ন হবে৷ আর দেশের উন্নয়ন হলে ভারত বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আসন লাভ করতে পারবে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *