নয়াদিল্লি-দমন, ১৭ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার কাজ করে চলেছে। আগামী অর্থবর্ষে কৃষি ক্ষেত্রে উন্নয়নের জন্য ২৫ লক্ষ কোটি টাকা খরচ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
সোমবার দমনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন রাষ্ট্রপতি। সেখানে দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমনের জন্য বিভিন্ন প্রকল্পের শিলান্যাস এবং উদ্বোধন করেন তিনি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি, ‘গির আদর্শ আজীবিকা যোজনা’ এবং বীজ, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ক্রয়ের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি কৃষকদের আয় বাড়াতে সাহায্য করেছে।
গত মাসে প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে নিজের ভাষণে রাষ্ট্রপতি দাদরা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউয়ের একীকরণের জন্য কেন্দ্র, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন এবং জনসাধারণকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি আত্মবিশ্বাস ব্যক্ত করেছিলেন যে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে জনকল্যাণমূলক ও উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের উন্নয়নকে নতুন শক্তি ও গতি দেবে।
রাষ্ট্রপতি এদিন ১৫ টি নতুন স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেছেন এবং সাতটি কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন। তিনি বলেন যে, এর মাধ্যমে লোকেরা বাড়ির নিকটে উন্নত ও সাশ্রয়ী মূল্যের স্বাস্থ্যসেবা পাবে। দেশের গ্রামীণ অঞ্চলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানীয় জল সরবরাহ করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, প্রায় ১৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে এই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে একটি ইন্টিগ্রেটেড জল ব্যবস্থাপনা ইউনিট উদ্বোধন করা হয়েছে। জামপুর সি-ফ্রন্ট এবং নানি দামান জেটি গার্ডেনের সৌন্দর্যমণ্ডিতকরণ, সিলবাসায় দহেল স্পোর্টস কমপ্লেক্স এবং বহিরঙ্গন ক্রীড়া সুবিধাগুলি এই অঞ্চলে পর্যটকদের আগমন বাড়িয়ে দেবে এবং কেন্দ্র অঞ্চলকে দেশের পর্যটন মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দেবে।
তিনি বলেন যে, সিলবাসার শ্রী বিনোবা ভাবে সিভিল হাসপাতালকে উন্নত করে ৬৫০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি-স্পেশালিটি টিচিং হাসপাতালে উন্নীত করা হচ্ছে। দমনেও ৩০০ শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল নির্মিত হচ্ছে। দাদরা ও নগর হাভেলিতে ৫২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে এবং দমন ও দিউতে ২৬টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। নতুন উদ্যোগ হিসাবে মোট ৩০ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে উন্নীত করার কাজ চলছে।
দাদ্রা ও নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউকে প্রকাশ্যে শৌচকার্য মুক্ত ঘোষণায় খুশি প্রকাশ করে তিনি বলেন, ২০১৮ সালে দমন ও দিউ অঞ্চল পল্লী স্যানিটেশন জরিপের অধীনে প্রথম স্থান এবং দাদরা ও নগর হাভেলি দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে।
তিনি বলেন এটা আনন্দের বিষয় যে দেশে প্রথমবারের মত উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের চেয়ে বেশি মেয়েকে ভর্তি করেছে। দাদ্রা ও নগর হাভেলি এবং দামান ও দিউয়ের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালিকাভুক্তি পড়ুয়া একশতাংশ স্পর্শ করেছে। ড. আম্বেদকের চিন্তাধারা অনুযায়ী কাজ করে চলেছে কেন্দ্রে।