BRAKING NEWS

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ভারতে সবচেয়ে বেশি, দাবি উপরাষ্ট্রপতির

নয়াদিল্লি, ১২ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় ভারতে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা অনেক বেশি। বুধবার নয়াদিল্লিতে ‘দীনদয়াল উপাধ্যায় অন্ত্যোদ্বয় যোজনা’-র এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান মুপ্পাভারাপু ভেঙ্কাইয়া নাইডু। 

উপরাষ্ট্রপতি বলেন, এ দেশের আইন ভারতের সংসদ ঠিক করবে। বাইরের কারও এক্তিয়ার নেই এর সমালোচনার। কাশ্মীরে সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ, তিন তালাক, নাগরিক সংশোধনী প্রভৃতিকে স্বাগত জানিয়ে তিনি বলেন, ধর্মীয় স্বাধীনতা বিপন্ন বলে যাঁরা হইচই করছেন, তাঁদের নিজেদের দিকে তাকানোর আবেদন করছি। ভারত যদি ব্রেক্সিট নিয়ে সংসদে সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা যেমন ঠিক নয়, তেমনই ভারতের নিজস্ব ব্যাপারেও কোনও দেশের নাক গলানোর এক্তিয়ার নেই। 

এদিন বিকেলে তাঁর বাসভবনে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে আগত আমন্ত্রিতদের সমাবেশে তিনি বলেন, “আমাদের উচিত শান্তির প্রতি নিজেদের উৎসর্গ করা। ‘পে অ্যাটেনশন, নট টেনশন’। প্রত্যেকে দেশের সম্পদ তৈরিতে আত্মনিয়োগ করুন। সবাইকে মনে করতে হবে তাঁরা দেশের একজন। সব কাজ সরকার করবে, আর আমি চুপ করে বসে থাকব, তা হয় না।“

উপরাষ্ট্রপতি বলেন, রাজনীতিতে নয়, সংস্কৃতিতে পূর্ণ ভারতীয়তা আনতে হবে। পশ্চিমী আকর্ষণ থেকে বিচ্যুত হয়ে স্বদেশি মনোভাবাসম্পন্ন হতে হবে। গান্ধীজী গ্রামে যাওয়ার আহ্বান করেছিলেন সকলকে। এ যুগেও ওই আবেদন সমান প্রাসঙ্গিক। যেমন প্রাসঙ্গিক দীনদয়াল উপাধ্যায়ের অন্ত্যবাসীদের কল্যাণের আবেদন। 

দেশের নানা স্থানের অপরিচিত নায়কদের (আনসাং হিরো) খুঁজে বার করে স্বীকৃতি জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। এর জন্য তৈরি হয়েছে ইন্ডিয়ান সোস্যাল রেসপনসিবিলিটি নেটওয়ার্ক (আইএসআরএন)। 

যাঁরা কোনওক্রমে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে, তাদের পাশে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ প্রভৃতি হরেক উপায়ে নিষ্ঠাভরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন যাঁরা, তাঁদের অনেকে এদিন নয়াদিল্লিতে উপরাষ্ট্রপতির এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। লক্ষ্য সমাজের অন্ত্যবাসীদের যাঁরা উদয়ের পথ দেখাচ্ছেন, তাঁদের অনুপ্রেরণাদান। 

এদিনের সমাবেশে আইআরএসএন-এর চার খন্ডের সঙ্কলনের প্রথম প্রকাশ করেন উপরাষ্ট্রপতি। উদ্বোধনী ভাষণ দেন  আইআরএসএন-এর উপাধ্যক্ষ তথা রাজ্যসভার সাংসদ, আইসিসিআর-এর সভাপতি বিনয় সহস্রবুদ্ধে, অধ্যক্ষ ওমপ্রকাশ সকলেচা, সিইও সন্তোষ গুপ্তা, মহেশচাঁদ শর্মা প্রমুখ। 

মঙ্গলবার ছিল দীনদয়াল উপাধ্যায়ের প্রয়াণ দিবস। যেটা জাতীয়তাবাদীদের কাছে ‘সমর্পন দিবস’ হিসাবে পরিগণিত হয়। কেন্দ্রীয় সরকার চায়, প্রচারবিমুখ কর্মযোগীরা নতুন ভারতগঠনে এগিয়ে আসুন। হাত বাড়িয়ে দিন ভবিষ্যতের সোনার ভারত তৈরির কর্মযজ্ঞে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *