নয়াদিল্লি, ১২ ফেব্রুয়ারি (হি.স.): বিপুল ভাবে দিল্লিতে পুনরায় প্রত্যাবর্তন হয়েছে আম আদমি পার্টি (আপ)-র। আসন সংখ্যা বাড়লেও, দিল্লিতে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে বিজেপির। দিল্লিতে বিপুল জয়ের উচ্ছ্বাসে যখন ভাসছিল আম আদমি পার্টি (আপ) ও দলের কর্মী-সমর্থকরা, ঠিক তখনই আসে দুঃসংবাদ! দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিনই আক্রান্ত হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)। মঙ্গলবার রাতে দিল্লির আসফ আলি মার্গে আপ বিধায়ক নরেশ যাদবের কনভয়ে হামলা চালাল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। আততায়ী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আপ-এর একজন দলীয় কর্মী, এছাড়াও আরও একজন কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। যদিও বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন নরেশ। এই হামলার ঘটনায় বুধবার সকালের মধ্যেই একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতের নাম-ধর্মেন্দ্র ওরফে কাল্লু (৪০)।
মেহরাউলি বিধানসভা আসনে জয়লাভ করেছেন নরেশ যাদব। মঙ্গলবার রাতে মন্দির থেকে ফিরছিলেন তিনি। আসফ আলি মার্গে, কিষানগড় গ্রামের কাছে আপ বিধায়ক নরেশ যাদবের কনভয়ে হামলা চালাল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী। কনভয়ের গাড়ি লক্ষ্য করে ওই দুষ্কৃতী ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আপ কর্মী অশোক মান। এছাড়াও একজন আহত হয়েছেন। এই হামলার ঘটনায় এফআইআর রুজু করেছে দিল্লি পুলিশ। এফআইআর-এ ৩ জন সন্দেহভাজনের নাম রয়েছে। দিল্লি পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণেই এই হামলা, রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।’ দিল্লি পুলিশ আরও জানিয়েছে, ‘অভিযুক্ত এবং মৃতের মধ্যে পুরানো শত্রুতা ছিল। ২০১৯ সালে দীপাবলির ঠিক আগে কোনও কারণে উভয়ের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল, হামলা চালানো হয়েছিল অভিযুক্তকে, সে রক্ষা পেলেও তাঁর ভাইপো গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। অভিযুক্তের সন্দেহ ওই হামলার নেপথ্যে মৃতেরই হাত ছিল। প্রায় ১৫ দিন আগে তাদের মধ্যে ফের গন্ডগোল হয়।’
মেহরাউলি-র আপ বিধায়ক নরেশ যাদব জানিয়েছেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। হামলার নেপথ্যে কী কারণ, তা আমার জানা নেই। সমস্ত কিছু আচমকাই হয়েছে। ৪ রাউন্ড গুলি চালানো হয়। আমি যেই গাড়িতে ছিলাম সেই গাড়িতেই হামলা চালানো হয়।’ আপ বিধায়কের কনভয়ে হামলা প্রসঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির অতিরিক্ত ডিসিপি ইঙ্গিত প্রতাপ সিং জানিয়েছেন, ‘প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে একজন দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে। নরেশ যাদব নিশানায় ছিলেন না। আপ কর্মীই দুষ্কৃতীর নিশানায় ছিল।’