নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারী৷৷ বিয়ের আগে ভালো করে খবর নেওয়া উচিত৷ না হলে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হওয়ার ঘটনা আটকানো সম্ভব নয়৷ শনিবার আগরতলার জিবি হাসপাতালে অগ্ণিদগ্দা গৃহবধূর খোঁজ নেওয়ার পর এ-কথা বলেন ত্রিপুরা রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী৷
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ কাশীপুরের বাসিন্দা আবদুল আহমেদ ভুইয়াঁর স্ত্রী জেসমিন বেগম অগ্ণিদগ্দা হন৷ তাকে জিবি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে৷ জেসমিনের বাপের বাড়ির সদস্যরা এই ঘটনার জন্য তার শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন৷ ওই ঘটনায় পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায় একটি মামলা হয়েছে৷
আজ রাজ্য মহিলা কমিশন জিবি হাসপাতালে ওই গৃহবধূর খোঁজ নিতে যায়৷ চিকিৎসকরা নাকি জানিয়েছেন, তিনি এখনও সংকটমুক্ত হননি৷ তবে তিনি চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন৷ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী বলেন, অগ্ণিদগ্দা গৃহবধূ তার শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন৷ তিনি বলেন, দোষীর কঠোর শাস্তি হোক পুলিশের কাছে এই আবেদন জানাবে মহিলা কমিশন৷ তবে দোষীর শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য মহিলা কমিশনও ভূমিকা নেবে৷
এদিন তিনি বলেন, গার্হস্থ্য হিংসা ব্যাধির আকার ধারণ করেছে৷ এক্ষেত্রে বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রী উভয় পক্ষকেই ভালো করে খোঁজখবর নেওয়া উচিত৷ তা না হলে গার্হস্থ্য হিংসা থামানো সম্ভব হবে না৷

