নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ ফেব্রুয়ারী৷৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন মূলত ভোটের রাজনীতির অঙ্গ৷ তাই, রাজনীতির ঊর্ধে ওঠে ত্রিপুরাবাসীর স্বার্থে এই আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরার প্রয়োজনীয়তা বোধ করেছেন ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য প্রদ্যোৎকিশোর দেববর্মণ৷ শনিবার খুমুলুঙে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিষয়ে ত্রিপুরাবাসীকে অবগত করার জন্য বাইক মিছিলের সূচনা করেন তিনি৷ তিন শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক আগামী ১৮ দিন ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্তে জাতি- উপজাতি সকল অংশের মানুষের কাছে পৌঁছবেন৷ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-বিরোধী প্রচারপত্র প্রত্যেকের হাতে পৌঁছে দেবেন তাঁরা৷
এ বিষয়ে প্রদ্যোৎ বলেন, ত্রিপুরাবাসীর স্বার্থে রাজনীতির উর্র্ধে থাকতে চাইছি৷ তাই কংগ্রেস থেকে পদত্যাগ করেছিলাম৷ তাঁর কথায়, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন জাতি-উপজাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করার মাধ্যম৷ কারণ, ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় এই আইনকে কেন্দ্র করে চরম অস্থিরতা দেখা দিয়েছে৷ তাঁর দাবি, বাঙালিরা নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন লাগু হোক বলেননি৷ উপজাতিরা এই আইনের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই বিরোধিতায় শামিল হয়েছেন৷ তবুও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ তিনি বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ভোটে জেতার লক্ষ্যেই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন আনা হয়েছে৷
এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় বিজেপি নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ভুলে গেছে৷ তাদের সেই প্রতিশ্রুতি মনে করাতে হবে৷ তাই জনগণের কাছে বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছি, নিজ এলাকার জনপ্রতিনিধিদের প্রতিশ্রুতি মনে করিয়ে দিন৷ তাঁর প্রশ্ণ, প্রাকনির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ কবে হবে? প্রদ্যোতের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি থেকে মানুষের চিন্তা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্যই নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু করতে আগ্রহী ত্রিপুরার বিজেপি সরকার৷

