BRAKING NEWS

নির্বাচনের দিনও দিল্লির রাজনৈতিক কাজিয়া তুঙ্গে, মন্দির যাত্রা নিয়ে জবাব কেজরিওয়ালের

নয়াদিল্লি, ৮ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : শনিবার নির্বাচনের দিনও দিল্লির রাজনৈতিক কাজিয়া তুঙ্গে। দিল্লির বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মন্দির যাত্রা নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করে বিজেপি নেতৃত্ব। পালটা দেন কেজরিওয়ালও।সবমিলিয়ে সরগরম রাজধানী রাজনীতি। এদিন সকালে দিল্লির মহিলাদের ভোট দিতে যাওয়ার আবেদন জানান বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে কাকে ভোট দিতে হবে, তা বাড়ির পুরুষদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করে নিতেও পরামর্শ দেন কেজরিওয়াল। তাঁর এই মন্তব্য ‘মহিলা বিদ্বেষী’ বলে কটাক্ষ করে মাঠে নেমেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। সবমিলিয়ে নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই সপ্তমে রাজধানীর রাজনীতির পারদ।

শুক্রবার সন্ধেয় কনাট প্লেসের হনুমান মন্দিরে পুজো দিতে গিয়েছিলেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বির্তকের সূত্রপাত সেখান থেকেই। বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রীর মন্দির যাত্রাকে ‘অশুদ্ধ’ বলে কটাক্ষ করেন দিল্লির বিজেপি প্রধান মনোজ তিওয়ারি। টুইটারে মনোজ লেখেন, “উনি কি পুজো দিতে গিয়েছিলেন, নাকি মন্দিরটাকে অশুদ্ধ করতে গিয়েছিলেন? যে হাতে জুতো খুললেন সেই হাতেই ফুল-মালা নিয়ে পুজো দিলেন! যখন দেখনদারি করতে কেউ মন্দিরে আসেন, তখন এটাই হয়।” তিনি আরও বলেন, “আমি পুরোহিতকে বারবার ফোন করে বলেছি, হনুমানজির বিগ্রহ শুদ্ধ করতে।” এরপরই ব্যাপক চটে যান বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। একগুচ্ছ টুইট করেন কেজরিওয়াল।

তাঁর কথায়, “আমি যবে থেকে প্রকাশ্যে হনুমান চল্লিশা পাঠ করেছি তবে থেকে সমস্যা তৈরি হয়েছে। কুৎসিত ভাষায় আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে। বিজেপি নেতৃত্ব ক্রমাগত বলে চলেছেন, “আমি মন্দির অপবিত্র করতে গিয়েছিলাম, এটা কী ধরনের রাজনীতি।” শেষে তিনি আরও লেখেন, “ঈশ্বর সকলকে আর্শীব্বাদ করুন। বিজেপি নেতাদেরও সুবুদ্ধি দিক।” এদিকে শনিবার সকালে দিল্লির মহিলাদের ভোট দিতে যাওয়ার আবেদন জানান। দিল্লিবাসী মহিলাদের উদ্দেশ্যে কেজরিওয়াল বলেন, “পরিবার সামলানোর মতো দেশ গড়ার দায়িত্বও আপনারা কাঁধে নিয়ে নিন। বাড়ির পুরুষদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করুন, উন্নয়নের স্বার্থে কাকে ভোট দেবেন।” আর তাঁর এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মাঠে নেমেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সবমিলিয়ে এক নজিরবিহীন পরিস্থিতির মুখে দাঁড়িয়ে রাজধানী দিল্লির দখলের লড়াই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *