BRAKING NEWS

১২ ঘণ্টার ডিমা হাসাও বনধ, সংঘর্ষ হাফলঙে, জেলায় ১৪৪ ধারা, ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের বনধের ডাক

হাফলং (অসম), ৬ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : ডিমা হাসাও জেলাকে দ্বিখণ্ডিত করে পৃথক দুই জেলা গঠনের দাবিতে এনসি হিলস ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম আহূত ১২ ঘণ্টার জেলা বনধ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাফলং। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে জেলা সদর হাফলং শহরের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে প্রশাসন সমগ্র ডিমা হাসাও জেলায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে।

ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরামের ডাকা ১২ ঘণ্টার বনধ বৃহস্পতিবার সকাল ৫ টা থেকে শুরু হয়। বনধ প্রখম দিকে শান্তিপূর্ণই ছিল। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশান্তি ছড়িয়ে পড়ে হাফলং শহরে। বনধ বানচাল করতে কতিপয় যুবক মাঠে নামলে বেলা ১১টা নাগাদ দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এতে বনধ সমর্থক এক  মহিলা ও এক যুবক আহত হয়েছেন। পাথর বর্ষণের ফলে মহিলাটির মাথা ফেটে যায়। পাথরের ঘা লাগে যুবকের ডান চোখের নীচে। তবে সংঘর্ষের সূচনা হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়।

এদিকে ইন্ডিজেনাস ফোরাম আহূত ১২ ঘণ্টার ডিমা হাসাও জেলা বনধের প্রভাব ছিল শুধু হাফলং, মাহুর ও হারাঙ্গাজাওয়ে। তবে মহকুমা সদর মাইবাং, উমরাংসো, লাংটিং, হাতিখালি, দিহাঙ্গি, দিয়ুংমুখ-সহ জেলার অন্যান্য অংশে বনধের প্রভাব পড়েনি। বনধের জেরে সদর শহর হাফলঙের বাজারহাট, দোকানপাট, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, স্কুল কলেজ, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস ইত্যাদি ছিল বন্ধ।

বনধকে কেন্দ্র করে হাফলঙে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার জেরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অমিতাভ রাজখোয়া বেলা ১১টা থেকে সমগ্র ডিমা হাসাও জেলায় সিআরপিসির অধীনে ১৪৪ ধারা জারি করেন।

অন্যদিকে বনধকে কেন্দ্র করে সংগঠিত হিংসাত্মক ঘটনার তীব্র নিন্দা করে ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি সামসুদ্দেনবে জেমি বনধ বানচালকারীদের নিন্দায় মুখরিত হন। বনধের সমর্থকদের ওপর আক্রমণের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, ২০১০ সাল থেকে পৃথক জেলার দাবিতে ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম আন্দোলন করে আসছে। এ নিয়ে আগে অনেক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের দাবি নিয়ে রাজ্য সরকার একটি টাস্কফোর্স গঠন করে দিয়েছিল। এমন-কি ২০১৯ সালে বাজেট অধিবেশনে রাজ্যের বর্তমান স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পূর্ত ও অর্থমন্ত্রী পৃথক ডিমা হাসাও জেলাকে বিভক্ত করে দুটি পৃথক জেলা গঠনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তার পরও এ ব্যাপারে কেন বিলম্ব হচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না তাঁরা, বলেন সামসুদ্দেনবে জেমি।

করে ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরামের কার্যনির্বাহী সভাপতি সামসুদ্দেনবে জেমির ঘোষণা, একই দাবির ভিত্তিতে আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ডিমা হাসাও জেলা বনধ কর্মসূচি পালন করবেন তাঁরা। বলেন, এর পরিপ্রেক্ষিতে যদি ডিমা হাসাও জেলায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় তা হলে এর জন্য দায়ী থাকবে রাজ্য সরকার। জেমি বলেন, বৃহস্পতিবার ইন্ডিজেনাস পিপলস ফোরাম গণতান্ত্রিকভাবে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছিল। তবে একে চ্যালেঞ্জ করে কেউ যদি আমাদের ওপর হামলা করে তা দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা, বলেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *