BRAKING NEWS

বড়ো চুক্তির আনন্দোৎসবে শামিল হতে ৭ ফেব্ৰুয়ারি অসমের কোকরাঝাড় যাচ্ছেন প্ৰধানমন্ত্ৰী মোদী

নয়াদিল্লি, ৪ ফেব্রুয়ারি (হি.স.) : কেন্দ্ৰ ও রাজ্য সরকার এবং উগ্রপন্থী সংগঠন ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অব বডোল্যান্ড (এনডিএফবি)-এর চার গোষ্ঠী-সহ বড়ো জনগোষ্ঠীয় কয়েকটি সংগঠনের মধ্যে ঐতিহাসিক ত্ৰিপাক্ষিক শান্তিচুক্তি সম্পাদন উপলক্ষ্যে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী এক বিশাল আনন্দোৎসবের আয়োজন করা হয়েছে বোড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল এরিয়া ডিস্ট্রিক্ট (বিটিএডি) তথা নবনামাঙ্কিত বড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল রিজিওন (বিটিআর)-এর সদর কোকরাঝাড়ে। প্রস্তাবিত শান্তিচুক্তির আনন্দোৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সশরীরে অংশগ্রহণ করবেন।

বিটিএডি এবং অসমের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কমপক্ষে ৪,০০,০০০ জনতা এদিন প্রধানমন্রীানকে স্বাগত জানাবেন বলে জানানো হয়েছে। অসম সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন জাতি-জনগোষ্ঠীয় সাংস্কৃতিক দল কর্তৃক আয়োজিত এক বৰ্ণিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রাজ্যের বৈচিত্ৰ্যময় কলা-সংস্কৃতি প্ৰদৰ্শন করা হবে৷ চলতি বছরের ২৭ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে স্বাক্ষরিত ঐতিহাসিক বড়ো চুক্তিকে স্বাগত জানিয়ে প্ৰধানমন্ত্ৰী এদিন নরেন্দ্ৰ মোদী উপস্থিত জনতার সামনে তাঁর বক্তব্য পেশ করবেন৷

উল্লেখ্য, ২৭ জানুয়ারি নয়াদিল্লিতে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হওয়ার পর তাঁর টুইটার হ্যান্ডলে ওই দিনকে ‘ভারতের জন্য এক বিশেষ দিন’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেছিলেন, ‘চুক্তিটি শান্তি, সম্প্ৰীতি ও একতার নতুন প্ৰভাতের সূচনা করে বড়ো জনসাধারণের জীবনে যুগান্তকারী পরবিৰ্তন কেড়ে আনবে।’ প্ৰধানমন্ত্ৰী নরেন্দ্ৰ মোদীর ‘সব-কা সাথ, সব-কা বিকাশ’ নীতি এবং উত্তরপূর্বের সামগ্ৰিক উন্নয়নের প্ৰতি সরকারের দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত চুক্তিটি পাঁচ দশকের বড়ো সমস্যার সমাপ্তি ঘটিয়েছে৷ টুইটে তিনি বলেছিলেন, ‘বড়ো চুক্তিটি বেশ কয়েকটি কারণে উল্লেখযোগ্য হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে৷ যারা এত দিন সশস্ত্ৰ সংগ্রামের সঙ্গে জড়িত ছিলেন, তাঁরা আজ মূলস্রোতে ফিরে এসে রাষ্ট্ৰের প্ৰগতির ধারায় শামিল হয়েছেন৷’ এই চুক্তির বলে ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অব বডোল্যান্ড (এনডিএফবি)-এর চার গোষ্ঠীর ১৬১৫ জন সক্রিয় ক্যাডার আত্মসমৰ্পণ করে দুদিনের মধ্যে মূলস্রোতে ফিরে এসেছেন৷

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বড়ো শান্তিচুক্তির দ্বারা বড়ো জনসাধারণের একক, অনন্য সংস্কৃতিকে অধিক সুরক্ষিত ও জনপ্ৰিয় করবে৷ ব্যাপক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের সুবিধা লাভ করবেন তাঁরা৷ বড়ো জনসাধারণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে আমি যথাসম্ভব সবধরনের পদক্ষেপ গ্ৰহণ করব৷” প্রসঙ্গত, বড়ো এলাকার উন্নয়নে ১৫০০ কোটি টাকার এক বিশেষ তহবিল ঘোষণা করা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *