জাল পিআরসি চক্র সদর এসডিএম অফিসে মহিলাসহ ধৃত চারজন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ জানুয়ারি৷৷ জাল পিআরসি সার্টিফিকেট চক্র ফের রাজ্যে সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ সদর মহকুমা শাসক অফিস থেকে পিআরসি বের করে দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাৎ করে চলছিল দুষ্টু চক্রটি৷ চক্রটি ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছে৷ এই চক্রে জড়িত মহিলা সহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ৷ চক্রে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুুলিশ৷


রাজধানী আগরতলা শহর এলাকাতেও জাল সার্টিফিকেট বিক্রয় চক্রটি সক্রিয় রয়েছে৷ সার্টিফিকেট প্রদানের ক্ষেত্রে অনলাইন ব্যবস্থা চালু করা সত্ত্বেও একাংশ সহজ সরল মানুষ এই দুষ্টুচক্রের ফাঁদে পড়ে টাকা পয়সা খুয়াচ্ছেন এবং এসব জাল সার্টিফিকেট নিয়ে আইনি ফ্যাসাদে পড়ছেন৷ এ ধরনেরই একটি দুষ্টুচক্রের হদিশ মিলেছে খোদ রাজধানী আগরতলা শহরে৷ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরেই সক্রিয় রয়েছে৷ এসডিএম অফিসে এই চক্র ধরা পড়েছে৷ জাল পিআরসি সার্টিফিকেট সহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অতিরিক্ত মহকুমা শাসক বিনয়ভূষণ দাস চক্রটিকে জালে তুলতে সক্ষম হয়েছেন৷


 যারা চক্রটির ফাঁদে পড়ে টাকা পয়সা খুইয়েছেন তারা জানান, অরজিনিয়াল সার্টিফিকেট করে দেবার নাম করেই তারা প্রত্যেকের কাছ থেকে তিন হাজার টাকা করে আদায় করেছে৷ তাদের কাছ থেকে নেওয়া সার্টিফিকেট নিয়ে তারা বিপাকে পড়েছেন৷ এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে অতিরিক্ত মহকুমা শাসক সদর বিনয়ভূষণ দাস জানান, জাল সার্টিফিকেট চক্রে এখনও পর্যন্ত ৪ জনকে আটক করা সম্ভব হয়েছে৷ এই চক্রের মূল পান্ডা হল জিতু মিঞা৷ অপর দুইজন হল সুলতান মিঢা ও তার স্ত্রী জাহেরা বেগম৷ তাদের প্রত্যেকের বাড়ি ইন্দ্রনগর এলাকায়৷


তাদের জবানবন্দী অনুযায়ী এই চক্রের আরও একজনকে আটক করা হয়েছে৷ অতিরিক্ত মহকুমা শাসককে বিনয় ভূষণ দাস জানান, ৪ জনকেই পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ জাল সার্টিফিকেট চক্রটি বহুদিন ধরেই সক্রিয় হয়ে উঠেছে৷ পিআরটিসি, আধার কার্ড, বার্থ সার্ঠিফিকেট, ডেথ সার্টিফিকেট, ট্রেড লাইসেন্স সহ নানা সার্টিফিকেট জাল করে তারা দীর্ঘদিন ধরেই অর্থ কামাই করে চলেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *