বিচারের আশায় প্রহর গুনছেন নির্যাতিতা গৃহবধূ

নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ২৮ জানুয়ারি ৷৷ দীর্ঘ ১২ বছরেও গৃহবধূ স্বামীর ঘরে সুখ পেল না৷ স্বামীর দ্বারা মানসিক, শারীরিকভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে গৃহবধূটি বর্তমানে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে এক কন্যা সন্তানকে নিয়ে বাঁচার তাগিদে৷ এমনই ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন গামাইবাড়ি এলাকায়৷


তৈদু থানাধীন মৃত নিপুল চক্রবর্তীর ছেলে গৌতম চক্রবর্তীর সাথে সামাজিকভাবে বিয়ে হয় তেলিয়ামুড়া থানাধীন গামাইবাড়ির বাসিন্দা কুমার চক্রবর্তীর মেয়ে বর্ণালী চক্রবর্তীর দীর্ঘ ১২ বছর আগে৷ বিয়ের কয়েকমাস ভাল কাটলেও শুরু হয় গৃহবধূ বণালীর উপর নির্যাতন৷ এর মাঝেই তাদের কোলে এক কন্যা সন্তান আসে৷ এরপর থেকে স্বামী গৌতম তার স্ত্রীর উপর মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতনের পরিমাণ বাড়াতে থাকে৷ জানা যায়, স্বামী গৌতম চক্রবর্তী প্রতিনিয়তই মদ্যপান ও জুয়া খেলাতে মজে থাকতো৷
গৌতম এসপিও এর চাকুরি করত৷

কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান ও জুয়া খেলাতে আকৃষ্ট হওয়ায় সে চাকুরির খাতায় অনুপস্থিত বছর খানেক ধরে৷ এদিকে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গৃহবধূটি তার কন্যা সন্তানকে নিয়ে তৈদু থেকে গামাইবাড়ির বাবার বাড়িতে চলে আসে৷ স্বামীর নির্যাতন থেকে বাঁচতে গৃহবধূটি রাজ্য মহিলা কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিল৷ স্বামী গৌতম চক্রবর্তী মদমত্ত অবস্থায় গামাইবাড়িতে শ্বশুর কুমার চক্রবর্তীর বাড়িতে এবং রাস্তায় ফের বর্ণালীকে মারধর করে বলে অভিযোগ৷ গৌতমের স্ত্রী বর্ণালী গৌতমকে কঠোর শাস্তি দাবি করেছে৷ গৃহবধূ নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের সংবাদ নেই৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে৷