নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জানুয়ারি৷৷ফুলের সৌন্দর্যে ও সুুগন্ধে মোহিত হয় না এমন মানুষ পৃথিবীতে কমই আছে৷ তবে ফুল শুধু সৌন্দর্যের জন্য নয়, জীবিকা নির্বাহের জন্যও এখন একটি অন্যতম উৎস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে৷ গতকাল রবীন্দ্র কাননে ৫ দিনব্যাপী আয়োজিত পুপ প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপমুখ্যমন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা এই কথাগুলি বলেন৷
ফুলের মতো সুুন্দর জিনিসের এমন একটি প্রদর্শনী আয়োজনের জন্য তিনি ত্রিপুরা হর্টিকালচার সোসাইটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, রাজন্য আমল থেকেই ত্রিপুরায় ফুলচাষ হয়ে আসছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরার মাটি বিভিন্ন প্রজাতির ফুলচাষের জন্য বিশেষ উপযোগী৷ তিনি উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরকে মানুষকে আরও বেশি করে ফুলচাষে উৎসাহিত করার পরামর্শ দেন৷ ফুলচাষের মাধ্যমে রাজ্যের বাণিজ্যিক পরিধি বৃদ্ধি ও মানুষের আয়ের উৎস সৃষ্টির বিষয়েও তিনি গুরুত্বারোপ করে বলেন, ফুল প্রক’তির দেওয়া সবচেয়ে সেরা ও সুুন্দর উপহার৷ ফুলচাষকে কাজে লাগিয়ে একজন গরীব ক’ষক আর্থিকভাবে স্বনির্ভর হতে পারেন৷ তিনি সকলকে নিজেদের ঘরের আঙ্গিনায় বা ছাদে ফুলচাষ করার আহ্বান জানান৷
আগরতলা পুরনিগমের মেয়র ড. প্রফুল্লজিৎ সিনহাও তার বক্তব্যে রাজ্যে বাণিজ্যিকভাবে ফুলচাষ বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, রাজ্যে উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তর ফুলচাষের দিকে বিশেষ নজর দিয়ে আসছে৷ ফুলচাষে এ রাজ্য পিছিয়ে নেই৷ তিনি বলেন, মল্লিকা, যুথিকা, মালতি এই দেশীয় ফুলগুলির চাষ এখন অনেকটা কমে গেছে৷ তাই এই ফুলগুলির চাষে মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে পরামর্শ দেন৷ এছাড়াও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ক’ষি ও ক’ষক কল্যাণ দপ্তরের প্রধান সচিব বি কে সাহু, ও এন জি সি ত্রিপুরা এসেটের ম্যানেজার ওম প্রকাশ সিং৷
স্বাগত ভাষণ দেন ত্রিপুরা হর্টিকালচার সোসাইটির সম্পাদক অপূর্ব কান্তি বর্মণ৷ উপস্থিত ছিলেন উদ্যান ও ভূমি সংরক্ষণ দপ্তরের অধিকর্তা নবজিৎ চাকমা৷ অনুষ্ঠানে অতিথিগণ পুপ প্রদর্শনী উপলক্ষে আয়োজিত বসে আঁকো, ফুলের আলপনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী এবং সেরা ফুলচাষিদের পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেন৷ এবছরের সেরা ফুলচাষির পুরস্কার পেয়েছেন উত্তর বাধারঘাটের নির্মল চক্রবর্তী৷ এছাড়াও প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী ৬১১ জন ফুলচাষির মধ্যে ১১৬ জন ফুলচাষিকেও বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়৷ অনুষ্ঠান শেষে আয়োজিত হয় মনো’ সাংস্ক’তিক অনুষ্ঠান৷