নয়াদিল্লি, ২০ জানুয়ারি (হি.স.) : সুপ্রিম কোর্টে খারিজ নির্ভয়া মামলায় দোষী পবন কুমার গুপ্তার বিশেষ আবেদন | ২০১২ সালে দিল্লিতে প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে গণধর্ষণের সময়ে নাবালক ছিল পবন। এই দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ১৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ওই অপরাধী। তবে সোমবারের শুনানিতে তার আবেদনকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে তা খারিজ করে দেয় দেশের সর্বোচ্চ আদালত|
২০১২ সালে দিল্লিতে প্যারামেডিকেল ছাত্রীকে গণধর্ষণের সময়ে নাবালক ছিল দোষী পবন কুমার গুপ্তা। এই দাবি জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ১৭ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত ওই অপরাধী। পবন কুমারের আইনজীবী স্কুলের যে নথি আদালতে জমা দেন, সেই নথি অনুযায়ী পবনের জন্ম ৮ অক্টোবর, ১৯৯৬। কিন্তু সেই নথিকে ভুয়ো বলে জানিয়ে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এরপরেই পবনের আইনজীবী এপি সিং হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আর ভানুমতী, অশোক ভূষণ ও এ এস বোপান্নার বেঞ্চে এই আবেদনের শুনানি হয় | এদিনের শুনানি শেষে পবনের এই আর্জিও খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। শীর্ষ আদালতের বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, ‘‘এই আর্জি শোনার মতো কোনও ভিত্তি আমরা খুঁজে পাইনি।’’
এদিনের শুনানিতে পবনের আইনজীবী এ পি সিং জানায়, স্কুলের নথি অনুযায়ী ঘটনার সময় পবন নাবালক ছিল। কিন্তু কোনও আদালতই সেই নথি গ্রাহ্য করেনি। কিন্তু দিল্লি পুলিশের পক্ষে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, ‘‘প্রতিটি বিচার প্রক্রিয়াতেই ওই উল্লিখিত নথিপত্র খতিয়ে দেখা হয়েছে।’’ এই সময়ে এসে বার বার নাবালক বলে অপরাধীর আবেদন গ্রাহ্য করে বিচার প্রক্রিয়া ব্যাহত হবে বলেও মত প্রকাশ করেন তুষার মেহতা। তিনি আদালতে জানান, ঘটনার সময় পবনের বয়স ছিল ১৯ বছর। বার্থ সার্টিফিকেটের কপি এবং স্কুলের সার্টিফিকেটের সার্টিফায়েড কপি বিচারের প্রতিটি পর্যায়েই খতিয়ে দেখা হয়েছে। তা ছাড়া পুলিশও জানিয়েছে যে, পবনের বাবা-মা তার বয়স নিশ্চিত করেছে।
দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘এই আর্জির মধ্যে আমরা কোনও ভিত্তি খুঁজে পাচ্ছি না। একবার জুভেনাইল আদালত এই আর্জি খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে খারিজ করার পর ফের সেই দাবি তোলা যায় না।’’ পবনের আইনজীবীর উদ্দেশ্যে বিচারপতিরা বলেন, ‘‘আর কত বার একই জিনিস শুনব আমরা। আপনারা আগেও একাধিক বার এই দাবি তুলেছেন।’’
উল্লেখ্য, নির্ভয়া মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ৬ জনের মধ্যে মধ্যে একজন নাবালাক হওয়ায় আগেই ছাড়া পেয়ে গিয়েছে। তিহাড় জেলে আত্মহত্যা করেছে রাম সিং। পবন, বিনয় শর্মা, মুকেশ কুমার ও অক্ষয় কুমার সিংর ফাঁসির সাজা কার্যকর হওয়ার কথা ১ ফেব্রুয়ারি। এরই মধ্যে নিম্ন আদালত ও দিল্লি হাইকোর্টে বিফল হয়ে নির্ভয়া ধর্ষণ-খুন কাণ্ডের সময় নাবালক ছিলাম আর্জি নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্ত হয়েছিল পবন কুমার গুপ্ত | এদিন তার সেই আর্জিও খারিজ হয়ে গেল |