নয়াদিল্লি, ১১ জানুয়ারি (হি.স.) : নির্দেশ পেলেই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে ভারতীয় সেনা বলে শনিবার সাফ জানিয়ে দিলেন নতুন সেনাপ্রধান মনোজ মুকুন্দ নারাভানে।
এদিন রাজধানী দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেনাপ্রধান জানিয়েছেন, সংসদ যদি পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরকে পুনর্দখল করতে চায়। তবে নির্দেশ মতো যথাযথ ব্যবস্থা নেবে সেনাবাহিনী। সংসদে আগেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে যে গোটা জম্ম ও কাশ্মীরই ভারতের অঙ্গ।
দেশবাসীর জন্যই যে সেনাবাহিনী নিয়োজিত তা মনে করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী হচ্ছে পেশাদার বাহিনী। জনগণের পক্ষে ও জনগণের দ্বারা নিয়োজিত এই বাহিনী। সংবিধান এবং তাঁর মূল্যবোধের মেনেই কাজ করে এই বাহিনী।
সিয়াচেন সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, সিয়াচেন ভারতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিম এবং উত্তরে সীমান্তে নজরদারি চালানো এবং অবস্থানগত কারণে একান্ত গুরুত্ব সিয়াচেন।
উল্লেখ করা যেতে পারে ১৯৪৮ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে হামলা করে পাকিস্তান। রাজা হরি সিং-এর অনুরোধে সেনা পাঠাতে সম্মত হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বল্লভভাই প্যাটেল। শুরু হয় যুদ্ধ। সেই সময় রাজা হরি সিং দিল্লিতে চলে আসে এবং জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতে অন্তর্ভুক্তির দলিলে সই করে দেয়। যুদ্ধ চলাকালীন নেহেরু রাষ্ট্রসঙ্ঘের দ্বারস্ত হন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নির্দেশে দুই তরফে সংঘর্ষ বিরতি হয়। যুদ্ধে পাকিস্তান কাশ্মীরের যে অংশটি নিজেদের দখলে রাখতে পেরেছিল সেটি হয় যায় পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর। যদিও ভারতের মতে অবৈধ ভাবে এই জায়গাটি দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। পরবর্তী সময় ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে এবং দেশের বাকি অংশে জঙ্গি কার্যকলাপ এবং প্রশিক্ষণ এই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরেই হয়ে চলেছে। জঙ্গি নিধনে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এবং এয়ারস্ট্রাইক এই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরেই চালায় ভারতীয় সামরিক বাহিনী।