আগরতলা, ৭ জানুয়ারি (হি.স.) : ত্রিপুরায় সর্ববৃহৎ এটিএম হ্যাকিঙের ঘটনায় ধৃত চার হ্যাকারকে ফের সাতদিনের পুলিশ রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। সর্ববৃহৎ এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে চার হ্যাকারকে রাজ্যে আনতে সক্ষম হয়েছে ত্রিপুরা পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা৷ গত বৃহস্পতিবার তাদের আদালতে সোপর্দ করে সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়েছিল সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ৷ আদালত সেদিন ছয়দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল। বুধবার ফের তাদের আদালতে তোলা হয় এবং ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুনরায় পুলিশ রিমান্ডের জানায়। আদালত সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। ওই চারজনকে কলকাতার বেলঘড়িয়ায় গ্রেফতার করেছিল পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ৷
প্রসঙ্গত, আগরতলা শহরের বিভিন্ন এটিএম হ্যাক করে ৭০ লক্ষাধিক টাকা লুটে নিয়েছিল এরা৷ ওই হ্যাকিঙে তুর্কির বাসিন্দা হাকান জানবুরকান, ফেতাহ আলদেমির এবং দুই বাংলাদেশি নাগরিক মহম্মদ হান্নান ও মহম্মদ রফিকুল ইসলাম যুক্ত ছিল৷ অসমেও তারা এটিএম হ্যাকিং করেছিল। অসম পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করেছিল। তারা কলকাতায় বসে এটিএম হ্যাক করেছিল। তাদেরকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ গত ১৯ নভেম্বর গ্রেফতার করেছিল৷ গত বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতা থেকে ওই চার হ্যাকারকে ত্রিপুরায় নিয়ে আসে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।
সরকারি আইনজীবী বিদ্যুৎ সূত্রধর জানান, গত নভেম্বরের প্রথম এবং দ্বিতীয় সপ্তাহে ত্রিপুরায় বেশ কয়েকজনের এটিএম হ্যাক হয়েছিল। প্রতারিত গ্রাহকরা নিজ নিজ এলাকার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তার মধ্যে গত ১৫ নভেম্বর পশ্চিম আগরতলা থানায় দুটি অভিযোগ জমা পড়ে। বিদ্যুৎবাবু বলেন, তদন্তে নেমে সাইবার ক্রাইম ব্রাঞ্চ জানতে পারে হ্যাকাররা আগরতলায় বসেই হ্যাকিঙের ছক এঁকেছিল। তারাই সমস্ত এটিএম কাউন্টারে ক্লোনিং মেশিন বসিয়েছিল। তার পর এরা আগরতলা ছেড়ে কলকাতায় বসে হ্যাক করে টাকা লুটছিল।
তিনি বলেন, ধৃত হ্যাকারদের জেরা করে বহু রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। তবে তাদের কাছ থেকে আরও অনেক তথ্য পুলিশের জানার রয়েছে। তাই ক্রাইম ব্রাঞ্চ পুনরায় তাদের রিমান্ডে নিতে চেয়েছে। তিনি বলেন, এটিএম হ্যাক-এর পেছনে বিরাট চক্র রয়েছে। সেক্ষেত্রে ওই সব হ্যাকারদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করে সমস্ত রহস্য ভেদ করতে চাইছে ক্রাইম ব্রাঞ্চ।