নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ জানুয়ারি৷৷ জাতীয় সড়কে দূর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে পৌছে দিয়ে মানবিকতার পরিচয় দিলেন সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক৷ একটি কর্মসূচীতে অংশ নিতে যাওয়ার সময় রাস্তায় পরে কাতরাতে থাকে তিনজন আহতকে নিজ গাড়িতেই হাসপাতালে পৌছে দেন৷
সোমবার বিশালগড় থানাধীন গকুলনগর দুইনাম্বার গেইট কলেজ সংলগ্ণ এলাকায় এক পথচারী পঞ্চাশোর্ধ মহিলা বাইকের ধাক্কায় গুরুতর ভাবে জখম হন৷ হরিশনগরের বাসিন্দা ওই পঞ্চাশোর্ধ মহিলা সহ বাইক চালক ও আরোহী গুরুতর আহত হন৷ পথচারী মহিলার নাম বীনা দাশ৷
পুলিশ জানিয়েছে, টিআর ০৭ বি ৬১৬২ নম্বরের একটি বাইক প্রথমে ওই মহিলাকে ধাক্কা দেয়৷ তারপর বাইকটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে না পেরে দূর্ঘটনাগ্রস্থ হয়৷ তিনজনই রক্তাক্ত অবস্থায় জাতীয় সড়কের পাশে পড়ে চিৎকার করছিলেন৷তখনই এক মানবিকতার দৃশ্য লক্ষ্য করেছেন স্থানীয় জনগন৷ ওই সময় সেই রাস্তা দিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা আসনের সাংসদ প্রতিমা ভৌমিক যাচ্ছিলেন৷ তিনি একটি কর্মসূচীতে অংশ নিতে আগরতলা থেকে সোনামুড়া যাচ্ছিলেন৷ দূর্ঘটনায় আহতদের দেখে নিজে গাড়ি থেকে নেমে তার গাড়িতে তিনজনকেই টিএমসি হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসক এর সাথে কথা বলেন এবং তাঁদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন৷
এ-বিষয়ে প্রতিমা ভৌমিক বলেন, মানুষের সেবা করা আমার দায়িত্ব৷ দূর্ঘটনায় আহতদের হাসপাতালে পৌছে দিয়ে সেই দায়িত্বই পালন করেছি৷ এদিকে পুলিশ বাইকটিকে থানায় নিয়ে গেছে৷ তাছাড়া এই দুর্ঘটনায় একটি মামলা রুজু হয়েছে৷
ফের এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল জনৈক বাইকারের৷ ঘটনায় আহত হয়েছেন বাইকের অন্য আরোহী৷ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানাধীন নতুনবাজার এলাকায়৷ নিহত বাইকারকে ইছাই লালছড়ার জনৈক বাসু নাথের বছর ৪৫-এর ছেলে সুকুমার নাথ বলে শনাক্ত করা হয়েছে৷ তাছাড়া আহতকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ঠিকাদার আনসার আলি (৪৬) বলে পরিচয় মিলেছে৷ সুকুমার নাথ পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন বলে জানা গেছে৷
প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, দৈনন্দিন কাজ শেষে রবিবার রাত দশটা নাগাদ ধর্মনগর শহর থেকে আরআর ০২ সি ৭৮৭৮ নম্বরের হিরোহোন্ডার সুপার প্লেন্ডার বাইেেক ইছাই লালছড়ায় নিজের বাড়ির উদ্দেশে ফিরছিলেন সুকুমার নাথ এবং পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা ঠিকাদার আনসার আলি৷ এমন সময় বিপরীত দিক অর্থাৎ কদমতলা থেকে আসছিল টিআর ০৫ ১৬৭৩ নম্বরের মিনি ট্রাক৷ ট্রাকের সঙ্গে সুকুমার নাথের বাইকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে সংঘটিত হয় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি৷ সংঘর্ষে বাইক থেকে ছিটকে পড়েন দুই আরোহী৷ দুমড়ে-মুচড়ে যায় বাইক৷
ইত্যবসরে বাইকার সুকুমার নাথকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ বাইকের অপর আরোহী তথা ঠিকাদার আনসার আলিকে সংকটজনকভাবে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে ভরতি করা হয়েছে৷
ঘটনার পর খবর পেয়ে অকুস্থলে ছুটে যান কদমতলা থানার পুলিশ ও ধর্মনগর দমকল বাহিনীর কর্মীরা৷ তাঁরা দুর্ঘটনাগ্রস্ত মিনি ট্রাক ও দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া সুপার স্ফেন্ডার বাইকটিকে উদ্ধার করে কদমতলা থানায় নিয়ে আসেন৷ পাশাপাশি কদমতলা থানার পুলিশ এ ব্যাপারে যান দুর্ঘটনা সংক্রান্ত একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে৷
এদিকে, রাজধানীতে বাইক দুর্ঘটনায় আবারও প্রাণ হারিয়েছে এক যুবক৷ তার নাম রাজু দে৷ বয়স ৩২ বছর৷ পেশায় রাজমিস্ত্রি৷ রবিবার রাত্রিতে কাজ সেরে অভয়নগর থেকে বাড়ি ফেরার পথে কোন অজ্ঞাত গাড়ির ধাক্কায় মৃত রাজুর বাইকটি দুমড়ে মুচড়ে যায়৷ ঘটনাস্থলেই বাইক চালক রাজু দে এবং তার সঙ্গে আর এক আরোহী তাপস সরকার পড়ে থাকতে দেখে এলাকাবাসী দমকল বাহিনীকে খবর দিলে দমকল কর্মীরা তাদের উদ্ধার করে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করে৷ হাসপাতালে আসার কিছুক্ষণ পরই রাজুর মৃত্যু হয়৷ অপর আরোহী তাপস সরকার জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷ পুলিশ বাইকটুি উদ্ধার করে জিবি ফাঁড়িতে নিয়ে এসেছে৷