ত্রিপুরায় আংশিক দৃশ্যমান সূর্যগ্রহণ

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ ডিসেম্বর৷৷ ঊনিশ দশকের সর্বশেষ সূর্যগ্রহণ ছিল আজ বৃহস্পতিবার৷ ত্রিপুরায় আংশিক সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান ছিল৷ আজ সকাল ৮টা ৩৫ মিনিট থেকে ১১টা ৩৯ মিনিট পর্যন্ত সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে৷ ত্রিপুরা ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ, কর্ণাটক, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, কেরালা, দিল্লি, মুম্বাই-সহ গোটা ভারতে সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে৷ প্রত্যেক স্থানেই আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখা গেছে৷
এ বছর শেষ সূর্যগ্রহণ হয়েছিল গত ২ জুলাই৷ ওই সূর্যগ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান ছিল না৷ সেক্ষেত্রে আজকের সূর্যগ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান প্রথম এবং অন্তিম সূর্যগ্রহণ ছিল৷ পরবর্তী সূর্যগ্রহণ হবে ২০২০ সালের ২২ জুন৷ তবে, ওই সূর্যগ্রহণ ত্রিপুরায় দৃশ্যমান হবে না৷


এদিকে, আজ ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশন ত্রিপুরা চ্যাপ্ঢার এবং ত্রিপুরা অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির পক্ষ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখার আয়োজন করা হয়েছিল৷ ত্রিপুরার ২২টি স্থানে প্রায় ৩ হাজার ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক ও শিক্ষক-শিক্ষিকারা সূর্যগ্রহণের সরাসরি সাক্ষী হতে পেরেছেন৷
আজ চাঁদ পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে অবস্থিত ছিল৷ তাই এমন সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে৷ চাঁদকে ঘিরে আলোর একটি রিংয়ের মতো কাঠামো গঠন হয়েছিল৷ সূর্যগ্রহণের অধিকাংশই রাতের অন্ধকারের মতো মনে হয়েছে৷ অন্যান্য স্বাভাবিক সূর্যগ্রহণের তুলনায় তা কিছুটা ভিন্ন ছিল৷


ইন্ডিয়ান সায়েন্স কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশন-এর সদস্য অয়ন সাহা জানিয়েছেন, আজ ত্রিপুরায় আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল৷ তবুও, সূর্যগ্রহণ দেখা গিয়েছে৷ তিনি বলেন, ত্রিপুরায় সূর্যের মোট ক্ষেত্রফলের ৩৯ শতাংশ দৃশ্যমান ছিল৷ এই সূর্যগ্রহণ দেখার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল৷
পৃথিবীর ইতিহাসে বিরলতম সূর্যগ্রহণ৷ অল ইন্ডিয়া সাইন্স কংগ্রেস ধর্মনগর বিভাগ ও কৈলাসহর পুর পরিষদের ব্যবস্থাপনায় কৈলাসহর রবীন্দ্র কাননে ফিল্টার চশমা সাহায্যে সকাল ৮.৩৫ থেকে ১১.৩৮ পর্যন্ত সূর্যগ্রহণ দেখার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে সর্বসাধারণের জন্য৷ সূর্যগ্রহণ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা গ্রহণ চলাকালীন সময়ে খালি চোখে অথবা ধারায় জল নিয়ে চলার মাধ্যমে দেখা বিজ্ঞানসম্মত নয় গ্রহণ দেখতে হলে বিশেষ সোলার ফিল্টার সাহায্যে সেকেন্ডের সময় পর্যন্ত দেখা উচিত৷


সূর্যগ্রহণ সম্পর্কে সাধারণ জনগণের বিভিন্ন কুসংস্কার দূরীকরণে পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি ও কেটি উদ্দেশ্য ছিল আজকের এই সূর্যগ্রহণ দেখার ব্যবস্থা করার মাধ্যমে আজকের এই সূর্যগ্রহণ দেখার জন্য বিভিন্ন সুকলের ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা পাশাপাশি স্থানীয়দের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়৷ প্রায় ১৭২ বছর পরে এই বিরলতম সূর্যগ্রহণ দেখা গেল আর এই গ্রহণকে দেখতে পাতার সাক্ষী থাকার জন্য সব বয়সীদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে৷ কৈলাসহর এর বুকে ধরনের উদ্যোগ এবারই প্রথম গ্রহণ করা হয়েছে৷ সূর্যগ্রহণ নূ্যনতম বছরে নূ্যনতম দুটি এবং সর্বাধিক পাঁচটি গ্রহণ হয়ে থাকে৷ পৃথিবীতে এই সংখ্যাটা ১ থেকে দুটির বেশি হয় না এই ২০১৯ সালের ২৬শে ডিসেম্বর এই জাতীয় সূর্যগ্রহণ দেখা যাচ্ছে ১৭২ বছর পর৷ ১৮৪৭ সালে এনুলার সূর্যগ্রহণ হয়েছিল৷


কৈলাসহরে আজ যে ধরনের সূর্যগ্রহণ দেখা যাচ্ছে তা রিং ফায়ার নয় এটা অ্যানুলার সূর্যগ্রহণ৷ রবীন্দ্র কাননে ফিল্টারে সূর্যগ্রহণ দেখানোর পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে অনলাইন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সূর্যগ্রহণের চিত্র প্রজেক্টরের মাধ্যমে সবার সামনে তুলে ধরা হয়েছে৷ কৈলাসহর এর সাধারণ নাগরিক ছাত্র-ছাত্রী ও শিশুরা যাতে এই গ্রহণের সাক্ষী থাকতে পারে তার জন্যই ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সাইন্স কংগ্রেস ধর্মনগরের এই প্রচেষ্টা৷ গ্রহণ সাধারণত কোনো ক্ষতি করে না শুধুমাত্র খালি চোখে গ্রহণ দেখলে চোখের রেটিনার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে৷