কলকাতা, ২৪ ডিসেম্বর (হি.স.): চরম বিশৃঙ্খলা, ধাক্কাধাক্কির মধ্যে মঙ্গলবার সকালে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা পেলেন রাজ্যপাল তথা প্রতিষ্ঠানের আচার্য জগদীপ ধনকড়। সকাল সাড়ে দশটা থেকে চলে এই অব্যবস্থা। কর্তৃপক্ষের তরফে কাউকে দেখা যায়নি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টায় করতে। গতকালও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্ট-এর বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে এসে প্রতিবাদী বাম পড়ুয়া ও তৃণমূল-প্রভাবিত কর্মিসমিতির বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় রাজ্যপালকে। আড়াই ঘন্টা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাটিয়েও তিনি কোর্ট-এর বৈঠকে অংশ নিতে পারেননি। তাঁর সম্মতি ছাড়াই এদিন বেলা এগারোটায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কর্তৃপক্ষ তাঁকে আমন্ত্রণ করেন। কিন্তু জানিয়ে দেওয়া হয় তিনি দীক্ষান্ত ভাষণ দিতে পারবেন না।
এ দিন রাজা সুবোধ মল্লিক রোডে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ নম্বর ফটক দিয়ে তাঁর কনভয় বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢোকে। একটু এগিয়ে সেটি আটকে যায় বিক্ষোভরত পড়ুয়াদের জন্য। তাঁদের ১২ জনের হাতে ছিল কালো পতাকা। ‘লেস চ্যান্সেলার, মোর পদ্মপাল’, ‘বিজেপি অ্যাক্টিভিস্ট মিঃ ধনকর গো ব্যাক’— এ রকম শ্লোগান-সম্বলিত পোস্টার ছিল অনেকের হাতে। বুকে কাগজের ব্যাজে কালো হরফে লেখা ছিল ‘নো এনআরসি, নো সিএএ, নো এনপিএ’ লেখা ব্যাজ।
গাড়ি খুব ধীর গতিতে সামান্য এগোনোর চেষ্টা করতেই রাজ্যপালের রক্ষীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের বচসা শুরু হয়। স্লোগান উঠতে থাকে ‘বিজেপি-র দালাল জগদীপ ধনকড় ফিরে যাও’, ‘বিজেপি-র ময়না, যাদবপুরে চলে না’, ‘অপদার্থ আচার্যর যাদবপুরে ঠাঁই নেই’, ‘রাজ্যপাল যদি শান্তি চাও, রাজভবনে ফিরে যাও’, ‘এনআরসি-র দালাল জগদীপ ধনকড় ধিক ধিক ধিক ধিক’ প্রভৃতি। রাজ্যপাল গাড়ির ছাদের হুড সরিয়ে ভিতর থেকে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলার চেষ্টা করেন। বিক্ষোভকারীদের স্লোগান জোরদার হয়, ‘রাজ্যপাল হঠাও, দেশ বাঁচাও’। এর পর রক্ষী-পরিবৃত অবস্থায় গাড়ি থেকে নেমে সাংবাদিকদের কিছু বলেন। বেলা পৌনে বারোটাতেও চলছে এই অবস্থা।