নয়াদিল্লি, ১৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে এবার রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দিল্লি। পরপর বাসে আগুন ধরিয়ে দিল বিক্ষোভকারীরা। চলল ভাঙচুর। বিক্ষোভে যোগ দেন জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার ছাত্ররা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। এ দিকে, গুয়াহাটির বিক্ষোভে গুলিবিদ্ধ আরও দু জনের মৃত্যু হয়েছে। এই নিয়ে অসমে নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হল চারজনের।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধিতায় জ্বলছে গোটা দেশ। সেই তালিকায় নাম জুড়ল রণক্ষেত্র রাজধানী। এই আইনের বিরোধিতায় দক্ষিণ দিল্লিতে বিক্ষোভ দেখায় জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতেও জড়িয়ে পড়ে তাঁরা। এরপরই ভাঙচুরের পাশাপাশি একাধিক গাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। এদিন নিউ ফ্রেন্ড কলোনিতে প্রথমে পড়ুয়ারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তার ফলস্বরূপ একে একে মথুরা রোড-সহ একাধিক রাস্তা অবরূদ্ধ হয়ে যায়। আশ্রম চক, বদরপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির যান চলাচলেও প্রভাব পড়ে। কয়েক হাজার মানুষের বিক্ষোভে প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় রাজধানী। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়দানে নামে পুলিশ। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে প্রথমে কথা বলেন পুলিশকর্মীরা। তবে তাতে বিশেষ লাভ হয়নি। পরিবর্তে পুলিশের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটি এবং পরে হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন প্রত্যেকে। বাধ্য হয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। তাতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়। একের পর এক বাসে আগুন জ্বালাতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। একে একে মোট ৩টি বাসে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। অবশেষে বাধ্য হয়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোঁড়ে পুলিশ।