সংসদের ক্যান্টিন থেকে সবরকমের ভর্তুকি প্রত্যাহার, সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত

নয়াদিল্লি, ৫ ডিসেম্বর (হি.স.) : অবশেষে সংসদের ক্যান্টিন থেকে সবরকমের ভর্তুকি তুলে নেওয়া সিদ্ধান্ত নিলেন সাংসদরাই। এখন থেকে বাজারদরেই খাবার কিনবেন তাঁরা। স্পিকারের সঙ্গে আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে বলে বলে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এতদিন সংসদে খাবারের ভর্তুকি বাবদ সরকারকে খরচ করতে হত ১৭ কোটি টাকা। এখন থেকে সেই টাকা রাজকোষ থেকে আর খরচ হবে না। সংসদে খাবারের ভর্তুকি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ ছিল সাধারণ মানুষের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বিস্তর আন্দোলনও হয়েছে। মূল্যবৃদ্ধির জেরে সাধারণ মানুষের যখন নাভিশ্বাস, তখন সাংসদরা কেন ভর্তুকি পাবেন? বার বার উঠেছে এ প্রশ্নও।

বুধবার এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসেন স্পিকার। সেখানেই সাংসদরা ভর্তুকি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। বৈঠক শেষে স্পিকার ওম বিড়লা ঘোষণা করেন, এই মুহূর্ত থেকে সংসদের খাবারে সমস্তরকম ভর্তুকি বন্ধ করা হল। সব সাংসদদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য,আপাতত সংসদে সমস্তরকম খাবারেই ভর্তুকি পেতেন সাংসদরা। সব খাবারই বাজারদর থেকে খানিকটা কমে পান তাঁরা। গতবছর একটি আরটিআইয়ের উত্তরে সরকার জানিয়েছিল, সংসদে মটনকারি বিক্রি হয় মাত্র ৪৫ টাকা প্লেট হিসেবে। চিকেন কারি বিক্রি হয় ৫০ টাকা প্লেট হিসেবে। চিকেন বিরিয়ানি পাওয়া যায় ৬৫ টাকায়। যা কিনা, দিল্লির বাজারদরের তুলনায় বেশ কম। দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে, উদ্দেশ্য শুধু সরকারের ১৭ কোটি টাকা বাঁচানো নয়। মূলত, সমাজকে বার্তা দিতেই ভর্তুকি তুলে দিতে চাইছেন সাংসদরা।