নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ৫ ডিসেম্বর ৷৷ একযোগে প্রায় ৮টি বন্য দাঁতাল হাতি উন্মত্ত তাণ্ডব চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর, কৃষিজ ফসল নষ্ট করে দিয়ে যায় বুধবার মধ্য রাতে৷ ঘটনা তেলিয়ামুড়া থানাধীন চাকমাঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের চামপ্লাই গ্রামে৷
দীর্ঘ দেড়মাস ধরে বন্য হাতির তাণ্ডব চলছে চামপ্লাই সহ কৃষ্ণপুরের বিভিন্ন এলাকায়৷ এই তাণ্ডব থেকে নিস্তার পেতে গ্রামবাসীরা রাত জেগে পাহাড়াও দেয়৷ কিন্তু এতেও কোনো লাভালাভ হচ্ছে না৷ বন্য হাতির দল খাদ্যের সন্ধানে এসে এই তাণ্ডব লীলা চালাচ্ছে বলে খবর এলাকাবাসীদের সূত্রে৷ হাতির সন্ত্রাসের খবর স্থানীয় বনকর্মীদের দিলেও, মুন্সিয়ানা বনকর্মীরা গড়িমসিতে এলাকার কৃষকদের সর্বনাশ৷ এই শুখা মরশুমে কৃষকরা মূলত পাকা ধান কাটার কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়৷
কিন্তু হাতির তাণ্ডবে এলাকার কৃষকদের অবস্থা ক্রমেই দূর্বিষহের আকার ধারণ করছে৷ বুধবার রাতে চাকমাঘাটের চামপ্লাই গ্রামে একযোগে ৮টি বন্য দাঁতাল হাতির দল কৃষ্ণ তপন দাসের বাড়িতে হামলা চালিয়ে দুটি বসতঘর ভেঙে তছনছ করে দেয়৷ এছাড়াও একই এলাকার অন্যান্য কৃষকদের কৃষি ক্ষেত্রের পাকা ধানও লন্ডভন্ড করে নষ্ট করে দেয়৷ এলাকার মানুষজনের মধ্যে হাতির সন্ত্রাস আতঙ্ক৷ রাতের আঁধারে কখন যে কি ঘটে তা মূলত আগাম বলাটা মুশকিল সাধ্য ব্যাপার৷ এ ব্যাপারে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত এক কৃষক ক্ষোভের সাথে জানান, বন্য হাতির খবর বনকর্মীদের দিলে তারা এসে হাতিগুলিকে তাড়িয়ে দিয়ে যায়৷ স্থায়ী কোনো সমাধান করতে ব্যর্থ বনকর্মী৷ বন্য হাতির তাণ্ডব ও ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনে যান খোদ মহকুমা শাসক৷
তবে দীর্ঘকাল ধরে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা কোনো সাহায্য সহায়তা পায়নি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীদের৷ অপরদিকে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের এক ব্যক্তি জানান, আগুন জ্বালিয়ে নিক্ষেপ করে বন্য হাতিগুলিকে বিতাড়িত করে গ্রামবাসীরা৷ তবে এভাবে কতদিন, এর স্থায়ী সমাধান কি, এসব কিছুই জানেনা এলাকার গ্রামবাসীরা৷ রাতের অন্ধকারে তাদের মধ্যে কেবল বন্য হাতির আতঙ্ক বিরাজ করছে৷