নিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ৩ ডিসেম্বর৷৷ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে এক প্রতিবন্ধী যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধারে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে৷ ঘটনা কৈলাসহরের ইরানী থানার অন্তর্গত ইয়াজিখাওড়া গ্রামে৷ মৃতা যুবতীর নাম মাহমুদা, বয়স বত্রিশ৷ ইয়াজিখাওড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহমুদার বাবা এবং মা দুজনই মারা যান কয়েকবছর পূর্বে৷ অবিবাহিতা মাহমুদা নিজ বাড়িতে ভাইয়ের বই-এর সঙ্গে বসবাস করে৷ মাহমুদার ভাই সৌদিআরবে থাকে৷ মাহমুদার পরিবার ইরানী থানায় গত পয়লা ডিসেম্বর সকালে একটি মিসিং ডায়েরী করে জানায় যে, মাহমুদাকে ত্রিশ নভেম্বর রাত থেকে পাওয়া যাচ্ছে না৷

পুলিশের পক্ষ থেকে এবং গ্রামবাসীরা দুদিন যাবত অনেক খোঁজাখুজির পরও তার কোন হদিশ পায়নি৷ অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে মাহমুদার বাড়ি থেকে পাঁচশো মিটার দূরে একটি পুকুরে মৃতদেহ ভাসতে দেখতে পেয়ে গ্রামবাসীরা ইরানী থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ, টিএসআর, ডগ স্কোয়াড আসে৷ মৃতদেহ জল থেকে তোলার পর দেখা যায় এটি মাহমুদার মৃতদেহ৷ ঘটনা সম্পর্কে পঞ্চায়েত সদস্য আব্দুল হান্নান জানান, মহমুদাকে তার ভাই এর বউ মেরে পুকুরের জলে ফেলে দিয়েছে৷ কারণ ভাইয়ের বউ প্রায়ই মাহমুদাকে বাড়িতে প্রচন্ড মারধোর করত৷
কয়েক দিন পূর্বেও পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ বিচার করে দিয়েছিল৷ তিনদিন যাবত মাহমুদা বাড়িতে নেই ৷ অথচ ভাইয়ের বউ-এর কোনো হেলদোল নেই৷ এমনকি পুলিশ মঙ্গলবার মৃতদেহ পুকুরের জল থেকে তোলে হাসপাতালে নিয়ে যাবার সময় গ্রামের ছোট-বড় সবাই আসলেও মাহমুদার ভাইয়ের বউ একবারও দেখতে আসেনি৷ এব্যাপারে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ডিসিএম রূপক ভট্টাচার্য বলেন, গত পয়লা ডিসেম্বর ইরানী থানায় নিখোঁজ মাহমুদার পরিবার থেকে মিসিং ডায়েরী দেওয়া হয়েছিল৷
তবে উনি জানান, মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য কৈলাসহরের উনকোটি জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে৷ মৃতদেহের শরীরে কোনো দাগ বা চিহ্ণ নেই বলে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জানান৷ বিশ্ব প্রতিবন্ধী দিবসে প্রতিবন্ধী যুবতীর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনা রীতিমতো উদ্বেগজনক৷ এই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে৷

