নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ১ ডিসেম্বর৷৷ উত্তর ত্রিপুরার কদমতলা থানাধীন কুর্তিতে বিরল প্রজাতির বেশ কয়টি বিড়ালছানা উদ্ধার হয়েছে৷ বিরল প্রজাতির বিড়াল ছানা উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য তো বটেই, আতঙ্কেরও সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়৷ অনেকে উদ্ধারকৃত বিড়াল ছানাগুলোকে বাঘের বাচ্চা বলে সন্দেহ করছেন৷ তাঁদের ধারণা, বাচ্চাগুলি এখানে থাকলেও তাদের বাঘিনী মা আশপাশ কোথাও রয়েছে৷ খবর পেয়ে বন দফতরের কর্মীরা ছুটে এসে এগুলো বাঘের বাচ্চা নয় বললে, হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন স্থানীয় আতঙ্কিতরা৷

জানা গেছে, কুর্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের চার নম্বর ওয়ার্ডের খেতে ধান কাটতে গিয়ে স্থানীয় কতিপয় যুবক চারটি বিরল প্রজাতির বিড়াল ছানা দেখেন৷ তারা গ্রামে এই খবর ছড়িয়ে দেন৷ দাবানলের মতো খবরটি গোটা কুর্তিতে ছড়িয়ে পড়ে৷ বিড়ালের বাচ্চাগুলো দেখতে কাতারে কাতারে মানুষ ছুটতে থাকেন৷ কেউ কেউ বিরল প্রজাতির জংলি বিড়াল ছানা বলে মনে করলেও বেশিরভাগ নাগরিক এগুলো বাঘের বাচ্চা বলে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেন৷
খবর পৌঁছে স্থানীয় বন দফতরে৷ খবর পেয়ে ছুটে আসেন চোরাইবাড়ি ফরেস্ট বিট অফিসার অমিয় সূত্রধর, পানিসাগর ফরেস্ট প্রোটেকশন ইউনিটের ইনচার্জ ফামকিমা ডার্লং-সহ অন্যরা৷ তাঁরা এসে এগুলোকে বাঘের বাচ্চা নয় বলে অভয় দেন স্থানীয়দের৷ এর পর ঘটনাস্থল থেকে চারটি বিরল প্রজাতির বিড়াল ছানাকে উদ্ধার করে তাঁরা পানিসাগরে বন বিভাগের সদর দফতরে নিয়ে যান৷ বর্তমানে বিড়াল ছানাগুলোকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে বলে বন দফতর সুত্রে জানা গেছে৷
এদিকে পানিসাগর ফরেস্ট প্রটেকশন ইউনিটের ইনচার্জ ফামকিমা ডার্লং জানান, বিরল প্রজাতির বিড়ালের ছানাগুলোকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছেন তাঁরা৷ মূলত এগুলো জংলি বিড়াল৷ সচরাচর এগুলো জনপদে আসে না৷ তাই একটু ভিন্ন প্রজাতির দেখে স্থানীয়রা বিড়ালের ছানাগুলোকে বাঘের বাচ্চা বলে ধারণা করেছিলেন৷ আগামীকাল সোমবার এগুলোকে ফের পরীক্ষা করে পানিসাগরের রৌয়া বন্যপ্রাণী সংরক্ষিত এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হবে৷

