![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/venkaia-naidu.jpg)
নয়াদিল্লি, ২৬ নভেম্বর (হি.স.) : রাষ্ট্র নির্মাণের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পাশাপাশি সাধারণ নাগরিকদের অংশগ্রহণ একান্ত প্রয়োজন। সংবিধানে বর্ণিত মৌলিক কর্তব্যের প্রতি আরও বেশি দায়বদ্ধ থাকা উচিত সাধারণ মানুষদের বলে জানিয়েছেন উপ-রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু।
মঙ্গলবার সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে যৌথ সংসদীয় অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে উপ-রাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু জানিয়েছেন, দেশ গঠনের ক্ষেত্রে মৌলিক কর্তব্যকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত প্রতিটি নাগরিকের। দেশগঠনের ক্ষেত্র সরকার এবং সাধারণ নাগরিকদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রত্যেকেরই অবদান সমান থাকা উচিত। কোনও সরকার একা দেশ গঠন করতে পারে না। প্রত্যেক নাগরিকদের উচিত নিজের মাতৃভাষাকে রক্ষা এবং সংরক্ষণ করা।
ভারতীয় গণতন্ত্রকে জীবন্ত দলিল আখ্যা দিয়ে উপ-রাষ্ট্রপতি বলেন, এই জীবন্ত দলিলকে ১০৩ বার সংশোধন করা হয়েছে। ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এখন প্রাসঙ্গিক ভারতীয় সংবিধান। ড. ভীমরাও আম্বেদকর চেয়েছিলেন রাজনৈতিক গণতন্ত্র থেকে সামাজিক গণতন্ত্রের দিকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। তাঁর সেই দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক।
১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থাকে ভারতীয় সংবিধানিক গঠনতন্ত্রে কালিমা আখ্যা দিয়ে উপ-রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে আগেই সতর্ক করেছিলেন বাবাসাহেব। অধিকার ও কর্তব্য যে সম্পর্কিত তা মনে করিয়ে দিয়ে উপ-রাষ্ট্রপতি জানিয়েছেন, প্রতিটি নাগরিক যদি নিজের কর্তব্য পালন না করে, তবে অধিকারও রক্ষিত হয় না। দেশ গঠনের দায় সরকারের একার নয়। কোনও বিশ্বাস দেশবাসীর দর্শনকে নষ্ট করতে পারবে না। বৈচিত্রের মধ্যে একতাই ভারতের প্রকৃত শক্তি। মৌলিক কর্তব্যগুলিকে পাঠ্যসূচীতেও অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান করেন তিনি।