নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২০ নভেম্বর৷৷ রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের সারা দেশে এনআরসি চালুর ঘোষণাকে সাধুবাদ দিয়েছে রাজ্যের জনজাতিভিত্তিক দুই আঞ্চলিক দল আইপিএফটি এবং আইএনপিটি৷ তবে, সিপিএম এই ঘোষণার তীব্র বিরোধিতা করেছে৷ একই পথে হেঁটেছে প্রদেশ কংগ্রেসও৷ ফলে, এনআরসি নিয়ে শাসক বিরোধী উভয় শিবিরেই তীব্র মতানৈক্য রয়েছে৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2018/09/NRC-Logo.jpg)
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের এনআরসি নিয়ে ঘোষণাকে ঘিরে ত্রিপুরায় শাসক জোট জনজাতিভিত্তিক আঞ্চলিক দল আইপিএফটি সাধুবাদ দিয়েছে৷ দলের সভাপতি তাতে ত্রিপুরা সরকারের রাজস্ব দপ্তরের মন্ত্রী এন সি দেববর্মার সাফ কথা, জনজাতি এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্থ না হলে এনআরসি-তে আপত্তি নেই৷ তাঁর বক্তব্য, আইনিভাবে যাঁরা এনআরসি-তে যুক্ত হওয়ার যোগ্য তাঁরা থাকবেন৷ অন্যরা বেরিয়ে যাবেন৷ তাতে, আপত্তি থাকার কোন কারণ নেই৷
প্রায় একই সুরে বলেন ত্রিপুরায় জনজাতিভিত্তিক আঞ্চলিক বিরোধী দল আইএনপিটি৷ দলের সাধারণ সম্পাদক জগদীশ দেববর্মা বলেন, ভারতীয় সংবিধানকে যাঁরা মান্যতা দেবেন তাঁরা এনআরসি-কে অস্বীকার করতে পারবেন না৷ তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় দীর্ঘ সময় ধরে এনআরসি চালু করার জন্য আন্দোলন করছে আইএনপিটি৷ তাই, দলের তরফে ত্রিপুরায় এনআরসি দাবিতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হয়েছে৷ তাঁর কথায়, প্রকৃত ভারতীয় যাঁরা এনআরসি-তে যুক্ত হবেন৷ অন্যদের নাম ভারতীয় তালিকা থেকে বাদ হবেন৷ তাঁর সাফ কথা, এনআরসি-কে স্বাগত জানাই৷ প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার আগেই সারা দেশে এনআরসি চালু করুক কেন্দ্রীয় সরকার৷
তবে, সারা দেশে এনারসি-র বিরোধিতা করেছে সিপিএম৷ সিপিএম পলিটব্যুরো আজ বিবৃতিতে অসমের উদহারণ দিয়ে বলেছে, এনআরসি-র জন্য অসমে বহু নাগরিক হয়রানির শিকার হয়েছেন৷ অথচ, অসমে পুনরায় এনআরসি করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার৷ সিপিএমের দাবি, আধার এবং ভোটার কার্ড থাকা সত্ত্বেও এনআরসি-র প্রয়োজনীয়তা নেই৷ তাতে, অসমের মতই অযথা প্রচুর অর্থ ব্যয় হবে৷ সাথে সিপিএম যোগ করেছে, সারা দেশে এনআরসি হলে অসমের মতই গোটা দেশবাসী হয়রানির শিকার হবেন৷
এদিকে, ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কনভেনার পীযুষ কান্তি বিশ্বাস বলেন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে অসমে এনআরসি চালু হয়েছিল৷ বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে নাগরিকদের চিহ্ণিত করতে চেয়েছিল৷ উল্টে বুমেরাং হয়ে গেছে৷ কারণ, অসমে হিন্দুদের উপরেই আঘাত এসেছে৷ তিনি সুর চড়িয়ে বলেন, অসমে এনআরসি-র জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ হয়রানির শিকার হয়েছেন৷ অনেকের মৃত্যুও হয়েছে৷ এর জবাব দিক বিজেপি, তারপর নতুন করে এনআরসি নিয়ে ভাবা উচিত কেন্দ্রের, কটাক্ষ করে বলেন তিনি৷