ইন্দোর, ১৬ নভেম্বর (হি.স.) : বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্ট ভারতের জয় এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা৷ প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয় অব্যাবত মোমিনুল হকদের৷ ভারতের থেকে ৩৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে শনিবার দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করা বাংলাদেশ শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারায়৷ ‘কিং পেয়ার অব সিক্স’ করে দুই ওপেনারই প্যাভিলিয়নের পথে হাঁটা লাগান৷ দুই ওপেনারের স্টাম্প ছিটকে দেন ভারতীয় পেসাররা৷ ইডেনে গোলাপি বলে ঐতিহাসিক দিন-রাতের টেস্ট নিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের উৎসাহ তুঙ্গে থাকলেও বিরাটদের প্রতিপক্ষ হিসেবে বাংলাদেশ মোটেই উপযুক্ত নয়, ইন্দোরে প্রথম টেস্টেই তার আঁচ পাওয়া গেল৷ মাত্র তিন দিনেই ইন্দোর টেস্টের ফয়সালা হতে চেলেছে৷ বিরাটদের বিরুদ্ধে বেঙ্গল টাইগারদের ইনিংসে হার বাঁচানোর কঠিন লড়াই চালাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম৷
এদিন সকালে অবশ্য আর ব্যাট করতে নামেনি ভারত৷ শুক্রবারের ছ’ উইকেটে ৪৯৩ রানের স্কোরেই প্রথম ইনিংসে ডিক্লেয়ার্ড দেয় টিম ইন্ডিয়া। ৩৪৩ রানের লিড নিয়ে এদিন সকালে বাইশ গজের কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে নতুন বলে আক্রমণ শুরু করেন ভারতীয় পেসাররা ইশান্ত ও উমেশ দু’জনেই শুরুতে গতি, সুইং, বাউন্সে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের সমস্যায় ফেললেন। তারপর শামির সুইং ও গতিতে বাংলাদেশের মিডল-অর্ডারে ধস নামে৷
লাঞ্চের পর মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ লড়াইয়ের চেষ্টা করলেও পঞ্চম উইকেটে মাত্র ২৮ রান যোগ করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদুল্লাহ৷ তিনিও শামির শিকার৷ ব্যক্তিগত ১৫ রানে শামির বলে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মাহমুদুল্লাহ৷ ৭২ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে থাকে বেঙ্গল টাইগাররা৷ তবে এখান থেকে লিটল দাসকে সঙ্গে নিয়ে মরিয়া লড়াই করেন রহিম৷ ষষ্ঠ উইকেট দু’জনে ৬৮ রান যোগ করার পর ব্যক্তিগত ৩৫ রানে লিটলকে ‘কট অ্যান্ড বোল্ড’ করে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান রবিচন্দ্রন অশ্বিন৷
নিয়মিত উইকেট হারালেও একা লড়াই জারি রাখেন রহিম৷ ভারতীয়য় বোলারদের বিরুদ্ধে এক বুক চিতিয়ে লড়াই করে এদিন টেস্টে তাঁর কুড়ি নম্বর হাফ-সেঞ্চুরিটি করেন রহিম৷ সপ্তম উইকেটে মেহেদি হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ৫৬ রান যোগ করে চা-বিরতিতে যান বাংলাদেশের এই তারকা ব্যাটসম্যান৷ চা-বিরতি পর সাত উইকেটে হারিয়ে ২০৮ রান তুলেছে বাংলাদেশ৷