বাদল চৌধুরীকে চার দিনের পুলিশ রিমান্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ নভেম্বর৷৷ পূর্ত ঘোটালায় প্রধান অভিযুক্ত প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধানসভায় বিরোধী সি পি আই এম- এর উপনেতা বাদল চৌধুরীকে আজ আদালতে তোলা হলে তাঁকে ৪ দিনের পুলিশ রিমান্ড এবং ২২ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দায়রা আদালতের বিচারক৷ তবে পুলিশ রিমান্ডকালীন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কিছু শর্ত বেঁধে দিয়েছে আদালত৷ ওই শর্ত পূরণ করা সম্ভব না হলে তাঁকে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারেই আলাদা ঘরে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে পুলিশকে৷ এদিকে, অপর অভিযুক্ত প্রাক্তন পূর্তকর্তা সুনীল ভৌমিককেও আদালত ২২ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত৷


এদিন আদালত বাদল চৌধুরীকে চারদিনের পুলিশ রিমান্ড এবং ওই রিমান্ড শেষে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে৷ অবশ্য পুলিশকে রিমান্ডের ক্ষেত্রে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে আদালত৷ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, বাদল চৌধুরীর স্বাস্থ্যের অবস্থা মাথায় রেখে তাঁকে কোনও লকআপে রেখে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে না৷

পুলিশ রিমান্ডে থাকাকালীন তাঁকে অন্য কোনও স্থান কিংবা নির্দিষ্ট একটি ঘর যেখানে আলো- বাতাসের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে এবং তাকে বিছানা ও পর্যাপ্ত পানীয় জল ও খাবারের সুবিধা বন্দোবস্ত করতে হবে৷ পাশাপাশি, তাঁকে যেখানে রাখা হবে তার কাছাকাছি স্থানে শৌচালয় থাকতে হবে৷ যাতে তাঁকে শৌচালয়ে যাওয়ার জন্য বেশি হাঁটতে না হয়৷ আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ রিমান্ড ও জেল হাজতে থাকাকালীন বাদল চৌধুরীকে প্রতিদিন চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে হবে৷ এছাড়া তাঁকে সুস্থ রাখার সমস্ত ব্যবস্থা করার জন্যও আদালত নির্দেশ দিয়েছে৷


তদন্তকারী পুলিশ অফিসারকে এ সমস্ত আয়োজন বন্দোবস্ত করে আদালতকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন দায়রা আদালতের বিচারক৷ এই আয়োজন না হওয়া পর্যন্ত বাদল চৌধুরী জেল হেফাজতে থাকবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ অবশ্য, যদি পুলিশ রিমান্ডে ওই সমস্ত ব্যবস্থা করা সম্ভব না হয় তাহলে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আলাদা ঘরে বাদল চৌধুরীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে বলে আদালত মঞ্জুর করেছে৷ তবে আগামী ২২ নভেম্বর পুনরায় বাদল চৌধুরীকে আদালতে হাজিরার প্রয়োজন নেই বলে দায়রা আদালতের বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন৷ কারণ, ওইদিন বাদল চৌধুরীকে সংশোধনাগারেই ভিডিও কনফারেন্সিঙে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷

সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য দায়রা আদালত কর্তৃপক্ষ এবং কেন্দ্রীয় সংশোধানাগারের সুপারিনটেনডেন্টকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷
এদিকে, পূর্ত ঘোটালায় অভিযুক্ত প্রাক্তন পূর্তকর্তা সুনীল ভৌমিককেও আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত৷ তাঁকেও ওইদিন ভিডিও কনফারেন্সিঙে হাজির করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত৷ আদালত এদিন বলেছে, সুনীল ভৌমিকের পক্ষে আজ কোনও জামিনের আবেদন জমা পড়েনি৷ তাই তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *