নয়াদিল্লি, ৩ নভেম্বর (হি.স.) : রবিবার থেকে অনির্দিষ্ট কালের জন্য অনশনে বসেছেন তিস হাজারি আদালতের আইনজীবীরা। পুলিশের গুলি চালানোর ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্তের দাবি তুলেছে ক্ষিপ্ত আইনজীবীরা।
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2017/08/Strike2222.jpg)
গাড়ি পার্কি করা নিয়ে আদালত চত্বরে শনিবার বিকেলে আইনজীবী এবং দিল্লি পুলিশের মধ্যে বচসা শুরু হয়। আইনজীবীদের অভিযোগ সেই সময় এক পুলিশকর্মী গুলি চালায়। যার জেরে আহত হন এক আইনজীবী। এরপরে পুলিশ-আইনজীবী খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায়। ক্ষিপ্ত আইনজীবীরা আদালত চত্বরে থাকা গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এদিনের অনশন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আইনজীবী অজয় গৌড় জানিয়েছেন, এটি অনির্দিষ্ট কালের জন্য ধর্মঘট। যে সকল পুলিশকর্মী আইনজীবীদের মারধর করেছে, তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে অবিলম্বে সাসপেন্ড করা উচিত। ২০০ জন আইনজীবী যারা পুলিশের মারে আহত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া উচিত।
বর্তমানে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ বিষয়টি তদন্ত করেছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট নন আইনজীবীরা। এই প্রসঙ্গে অজয় গৌড় জানিয়েছেন, হাইকোর্টের কোনও বিচারপতিকে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করা হোক।
তিস হাজারি আদালতে দুইটি মামলার জন্য আসা পাটনার আইনজীবী নদিম আখতার খান জানিয়েছেন, এক পুলিশ আধিকারিক আইনজীবীর উপর লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। অপরাধীদের উপর গুলি চালানো উচিত, শিক্ষিত মানুষদের উপর নয়। বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রাক্তন সভাপতি তথা আইনজীবী আর এন ভট্ট জানিয়েছেন, শনিবার ডিসিপি নর্থের নির্দেশে আইনজীবীদের উপর হামলা চালায় পুলিশ। এমনকি আইনজীবীদের চেম্বার এবং গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে। সোমবার সমস্ত ডিস্ট্রিক আদালতে কাজে যোগ না দিয়ে ধর্মঘট পালন করবে আইনজীবীরা। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের দ্রুত সাসপেণ্ড করতে হবে। হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি আইনজীবীদের দুই লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে দিল্লির বার কাউন্সিলের তরফে জানানো হয়েছে। অল্পবিস্তর জখম আইনজীবীদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। বার কাউন্সিলের তরফ থেকে সোমবার সমস্ত ডিস্ট্রিক আদালতে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।