নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ নভেম্বর৷৷ রিয়াং শরণার্থীরা খাদ্য গুদাম লুটের হুমকি দিয়েছে৷ এ ব্যাপারে শরণার্থী-নেতার আজ মাইকিং করেছেন৷ এর জেরে আজ শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আনন্দবাজারে খাদ্যগুদাম এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে কাঞ্চনপুর মহকুমা প্রশাসন৷
এ-ব্যাপারে কাঞ্চনপুরের মহকুমাশাসক অভেদানন্দ বৈদ্য জানিয়েছেন, আজ অবরোধ চলাকালীন রিয়াং শরণার্থীরা আগামীকাল খাদ্যগুদাম লুট করা হবে বলে মাইকিং করেছেন৷ তাই কোনও ঝুঁকি নেওয়া উচিত হবে না বলে মনে করে আজ সন্ধ্যা থেকে আনন্দবাজারে খাদ্যগুদাম এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/655555555555.jpg)
বিনামূল্যে রেশন ও আর্থিক সহায়তার দাবিতে দ্বিতীয় দিনও রিয়াং শরণার্থীরা জারি রাখেছেন রাস্তা অবরোধ৷ আজ সকাল পাঁচটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দশদা-আনন্দবাজার রাস্তা অবরোধ করেছেন তাঁরা৷ শরণার্থী নেতা ব্রোনো মিশার বক্তব্য, রিয়াং শরণার্থী প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া সমাপ্ত না হওয়া পর্যন্ত বিনামূল্যে রেশন ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া না হলে প্রতিদিন চলবে রাস্তা অবরোধ৷
বিনামূল্যে রেশন ও আর্থিক সহায়তা কেন্দ্রীয় সরকার বন্ধ করে দেওয়ায় রিয়াং শরণার্থীরা পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দশদা থেকে আনন্দবাজার রাস্তা অবরোধ করছেন৷ গতকাল সকাল পাঁচটা থেকে সংগঠিত অবরোধের জেরে যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে৷ অবরোধ প্রত্যাহারের জন্য উত্তর ত্রিপুরা জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বার বার অনুরোধ জানানো সত্ত্বেও রিয়াং শরণার্থীরা অবরোধ তুলে নেননি৷ আজ ফের অবরোধের জেরে যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং মানুষ ভোগান্তির শিকার হয়েছেন৷
গত মঙ্গলবার উত্তর ত্রিপুরার জেলাশাসককে এক চিঠিতে ৩১ অক্টোবর দশদা থেকে আনন্দবাজার রাস্তা অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন রিয়াং শরণার্থী নেতৃবৃন্দ৷ সে-মোতাবেক গতকালের পর আজ ফের সকাল পাঁচটা থেকে পাঁচ শতাধিক রিয়াং শরণার্থী দশদা-আনন্দবাজার রাস্তা অবরোধ করেন৷ আজও কাঞ্চনপুরের মহকুমাশাসক অবরোধস্থলে গিয়ে রিয়াং শরণার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্ত তারা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন৷
এদিকে, আজ বিকেল পাঁচটায় যথারীতি অবরোধ সমাপ্ত হয়৷ আগামীকাল ফের তারা অবরোধে বসবেন বলে জানান শরণার্থী নেতা ব্রোনো মিশা৷
জেলাশাসককে লেখা ওই চিঠিতে শরণার্থী নেতারা খাদ্য গুদাম লুটের হুমকি দিয়েছিলেন৷ আজ কাঞ্চনপুরের মহকুমাশাসক অভেদানন্দ বৈদ্য বলেন, এদিন অবরোধ চলাকালীন রিয়াং শরণার্থীরা তাদের ভাষায় আগামীকাল খাদ্য গুদাম লুট করা হবে বলে মাইকিং করেছেন৷ ফলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন ঘটার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷
তাই, আনন্দবাজার খাদ্য গুদাম এলাকায় ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে৷ তিনি জানান, আজ সন্ধ্যা ছয়টা থেকে এই নির্দেশ কার্যকরী হবে৷ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ওই আদেশ বলবৎ থাকবে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, রিয়াং শরণার্থীরা অন্তত অবরোধ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি থাকবেই৷