নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩১ অক্টোবর৷৷ গোটা উত্তর- পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ত্রিপুরার কাঞ্চনপুর জম্পুই পাহাড়ের কমলালেবুর একদা আলাদা চাহিদা ছিল৷ চাষিরাও কমলালেবু উৎপাদন করতেন প্রচুর৷ কিন্তু সাম্প্রতিককালে জম্পুই পাহাড় নানা সমস্যায় ধুঁকছে৷ ফলে এলাকার প্রধান আয়ের উৎস কমলালেবু চাষে চলছে মন্দা৷
![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/11/2018080954-nud94etacr0vjb9682nfyquuqyewq21gxa50d447ey-1024x577.jpg)
জম্পুইয়ের কমলালেবু ত্রিপুরা পাড়ি দিয়ে দক্ষিণ অসমের বরাক ছাড়াও বহিঃরাজ্যে রফতানি করা হত৷ ছোট ও মাঝারি আকারের এ-সব কমলালেবু বর্তমানে আবহাওয়াজনিত কারণে আর তেমন জম্পুইয়ের বাগানে উপাদন হয় না৷ জানালেন পাহাড়ের অধিবাসী জনজাতিরা৷ জম্পুই পাহাড়ের কমলাচাষি শ্যামল চাকমা, রনঞ্জয় রিয়াং, বিকাশ ত্রিপুরা এই প্রতিবেদককে জানান, আগের মতো আর জম্পুইয়ে কমলালেবুর ফলন হচ্ছে না৷ ত্রিপুরা জুড়ে রবার চাষের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়েছে৷
ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে বগানের কমলা গাছে প্রথমে পাতা লাল হয়ে পরে শুকিয়ে মরে যায়৷ এমন-কি জীবিত কিছু গাছেও আগের মতো ফল ধরে না৷ তাছাড়া অতিবৃষ্টিও কমলা বাগানের জন্য এক ক্ষতিকারক দিক৷ তাঁরা বলেন, এবার যদি লাগাতার বৃষ্টিপাত না হত, তা-হলে হয়ত কিছুটা ভালো ফলন হওয়ার সম্ভাবনা ছিল৷ কারণ জম্পুইয়ে নতুন কিছু বাগানও করা হয়েছে৷ গোটা এলাকায় হাজার হাজার বিঘা জমিতে কমলালেবুর বাগান থাকলেও সে পরিমাণ ফলন না হওয়ায় তাঁরা দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন৷
শ্যামল চাকমা বলেন, এবার ফলন কম হওয়ায় বাইরের বাজারে কমলা রফতানি করা যায়নি৷
তবে স্থানীয় বাজারে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কমলালেবু৷ কাঞ্চনপুর বাজারে প্রতি জোড়া কমলা ১৫ থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে৷ এটা নাকি সর্বকালের রেকর্ড৷ আগে, এমন-কি গত দু বছর আগেও স্থানীয় বাজারে কমলালেবুর জোড়া ছিল পাঁচ থেকে ছয় টাকা৷ বৃহত্তর এলাকার মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস কমলা চাষে সৃষ্ট সমস্যা নিরসনে ভুক্তভোগীরা রাজ্য সরকারের কৃষি বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন৷