তিরুচিরাপল্লীতে গভীর কুয়োতে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করল এনডিআরএফের টিম

তিরুচিরাপল্লী, ২৬ অক্টোবর হি. স.) : প্রায় ১৮ ঘন্টার প্রচেষ্টার পর অবশেষে ৬৫ ফুট গভীর কুয়োতে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হল। দুর্ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তামিলনাড়ুর তিরুচিরাপল্লীর  নাড়ুকত্তপট্টিতে । বাড়ির সামনেই খেলছিল ২ বছরের সুজিত উইলসন। খেলতে খেলতে অসাবধানতায় ৬৫ ফুট গভীর কুয়োতে পড়ে যায় বাচ্চাটি। তারপর শনিবার প্রায় ২ ঘণ্টার চেষ্টায় তাকে উদ্ধার করে এনডিআরএফ-এর বিশেষ টিম।

এদিন বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে উপরে তুলে আনা হয়েছে। । সেখানকার এক সিনিয়র পুলিশ অফিসার জিয়াউল হক জানিয়েছেন, সুজিতের ৬৫ ফুট গভীর কুয়োতে পড়ে যাওয়ার খবর শুনেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। খবর দেওয়া হয় জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলকেও। উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছনোর পর যে কুয়োতে বাচ্চাটি পড়ে গিয়েছিল তার পাশে একটি সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু করে দেয়। উদ্দেশ্য ছিল এই সুড়ঙ্গ দিয়ে প্রথমে কাদামাটি বের করে আনা হবে। তারপর ২ বছরের সুজিতকে উদ্ধার করে ওই একইপথে বের করে আনা হবে। কিন্তু সুড়ঙ্গ খোঁড়ার সময় পাথরে আঘাত লাগে। সেই সময়েই খোঁড়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এনডিআর টিমের বিশেষজ্ঞদের কথায় কোনও ভাবে খুঁড়তে গিয়ে এই পাথর আলগা হয়ে গেলে বাচ্চাটির বিপদ হতে পারত। উদ্ধারকারী দল আরও জানিয়েছে, কুয়োটা ঠিক কতটা গভীর সঠিক ভাবে বলতে পারছিলেন না কেউই। তাই রিস্ক নেননি কর্মীরা। উপর থেকে ক্রমাগত পাঠানো হচ্ছিল অক্সিজেন। কিন্তু প্রায় ১৮ ঘণ্টা জল এবং খাবার ছাড়া ছিল ২ বছরের বাচ্চাটি। তবে এ যাত্রায় বড়সড় কোনও অঘটন ঘটেনি। একটা পাইপে ডগায় করে দড়ি পাঠানো হয়েছিল কুয়োর তলায়। তবে বাচ্চাটির হাতে সেই দড়ির ফাঁস জড়িয়ে উপরে তোলার সময় শেষ মুহূর্তে আলগা হয়ে যায় হাতের বাঁধন। পরে অবশ্য দীর্ঘক্ষণের চেষ্টায় ওই কাদা জমাট এলাকা থেকে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় উদ্ধারকারী দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *