নয়াদিল্লি, ২৫ অক্টোবর (হি.স) : হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে কোনও দলই সংখ্যাগরীষ্ঠতা পায়নি। হরিয়ানায় সরকার গড়তে ৪৬ টি আসনের প্রয়োজন ছিল। যার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৪০ টি আসন। এই পরিস্থিতিতে মনোহরলাল খাট্টারকে ফের হরিরিয়ানার কুর্সিতে ফেরাতে ৭ জন নির্দল বিধায়ক নিঃশর্ত সমর্থন জানালেন । শুক্রবার হরিয়ানা লোকহিত পার্টির নেতা গোপাল কান্ডাও বিজেপির পক্ষে নিঃশর্ত সমর্থনের ঘোষণা করেছেন। তবে নতুন সরকারের শপথ গ্রহণ কবে হবে সেটা এখনও জানা যায়নি।
৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় সরকার গড়ার ম্যাজিক সংখ্যা ছিল ৪৬। বিজেপি পেয়েছে ৪০টি আসন, কংগ্রেস ৩১ এবং জেজেপি ১০টি। এছাড়া ভারতীয় রাষ্ট্রীয় লোকদল এবং হরিয়ানা লোকহিত পার্টি ১টি করে ও ৭টি আসনে জয়ী হয়েছে নির্দল প্রার্থীরা। অর্থাৎ সরকার গড়তে বিজেপির দরকার ছিল আরও অন্তত ৬ জনের সমর্থন। আগেই বিজেপিকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল গোপাল কান্ডার হরিয়ানা লোকহিত পার্টি। এরপর এদিন সকালে দিল্লিতে বিজেপির কার্যকরী সভাপতি জেপি নাড্ডা-র বাসভবনে আসেন মনোহরলাল খট্টর। তারপরই হরিয়ানার তিন নির্দল বিধায়ক সোমবীর সাঙ্গোয়ান, রাকেশ দৌলতাবাদ ও নয়নপাল রাওয়াত-ও আসেন নাড্ডার বাসভবনে। এর কিছু পরেই গোপাল কান্ডাও ঘোষণা করেন হরিয়ানার সাত বিজয়ী নির্দল প্রার্থীই বিজেপিকে সমর্থন করছেন এই সাতজন হলেন রঞ্জিত সিং, সোমবীর সাঙ্গোয়ান, রাকেশ দৌলতাবাদ, বলরাজ কুন্ডু, ধরম পাল গোন্ডার, এবং নয়ন পাল রাওয়াত। ফলে বিজেপির পক্ষে সমর্থন দাঁড়ালো ৪৮।
সূত্রের খবর এদিনই রাজ্যপালের কাছে সরকার গঠনের আবেদন করতে পারেন মনোহরলাল খাট্টার। কবে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি শপথ নেবেন সেবিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। অন্যদিকে, এদিন দিল্লিতে অনুষ্ঠিত জেজেপির বৈঠকে দুষ্মন্ত চৌতালাকে বিধানসভা দলের নেতা নির্বাচিত করা হয়েছিল। বৈঠক শেষ হওয়ার পরে, দুষ্মন্ত চৌতালা তার বাবা অজয় চৌতালার সাথে দেখা করতে তিহার জেলে দেখা করতে যাবেন। দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত অজয় চৌতালা । জেজেপি জানিয়েছে, উভয় পক্ষের (বিজেপি এবং কংগ্রেস) জন্য দরজা উন্মুক্ত রয়েছে। তবে দল কার সাথে থাকবে সেটা বিকেল চারটের বৈঠকের পরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।