BRAKING NEWS

বাদল চৌধুরীর জামিনের আবেদনের শুনানি ৩০শে, কেইস ডায়েরি তলব

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ অক্টোবর৷৷ রাজ্যে পূর্ত কেলেংকারি মামলায় প্রাক্তন মন্ত্রী বাদল চৌধুরীর জামিন আবেদনের ফের শুনানি হবে আগামী ৩০ অক্টোবর৷ ওইদিন কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত৷ তাছাড়া, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বাদল চৌধুরীর স্বাস্থ্যের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে রাজ্য সরকারকে বলেছে আদালত৷


আজ বৃহস্পতিবার ত্রিপুরা হাইকোর্টের অবসরকালীন কোর্টে বিচারপতি অরিন্দম লোধের বেঞ্চে পূর্ত ঘোটালায় অভিযুক্ত বাদল চৌধুরীর অগ্রিম জামিনের আবেদনের শুনানি হয়েছে৷ বাদল চৌধুরীর পক্ষে তাঁর স্ত্রী নমিতা গোপ সিআরপিসি ৪৩৯ ধারায় ত্রিপুরা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন৷ বাদলবাবু বর্তমানে আগরতলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷ শারীরিক অসুস্থতার জন্য গতকাল পুলিশ তাঁকে আদালতে তুলতে পারেনি৷ কারণ চিকিৎসকরা তাঁকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেননি৷


আজ ত্রিপুরা হাইকোর্টে বাদল চৌধুরীর কেঁসুলি আদালতকে জানিয়েছেন, তাঁর মক্কেলের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়৷ তিনি হৃদরোগজনিত সমস্যায় ভুগছেন৷ ফলে, তাঁকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, তাঁর শরীর সহ্য করতে পারবে না৷ তাই, তাঁর অগ্রিম জামিনের আবেদন মঞ্জুর করা হোক৷ কিন্তু, অ্যাডভোকেট জেনারেল কেস ডায়েরি পেশ করার জন্য সময় দেওয়ার আবেদন জানান৷ আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে এবং আগামী ৩০ অক্টোবর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করে কেস ডায়েরি আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে৷


এ-বিষয়ে বাদল চৌধুরীর আইনজীবী পুরুষোত্তম রায়বর্মণ বলেন, ত্রিপুরা হাইকোর্ট কেস ডায়েরি তলব করেছে৷ আগামী ৩০ অক্টোবর আদালতে তা জমা দিতে হবে৷ ওইদিনই পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত৷ পুরুষোত্তমবাবু বলেন, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত আদালত বাদল চৌধুরীর স্বাস্থ্যের পুরো খেয়াল রাখার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে৷


এদিকে, অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিক বলেন, পূর্ত ঘোটালায় প্রাক্তন মন্ত্রী বাদল চৌধুরী এবং প্রাক্তন পূর্তকর্তা সুনীল ভৌমিকের বিরুদ্ধে ভিজিলেন্স মামলা করেছে৷ ওই মামলায় সুনীল ভৌমিক গ্রেফতার হয়ে এখন পুলিশ রিমান্ডে রয়েছেন৷ তাঁর জামিনের আবেদন পশ্চিম জেলা দায়রা আদালত খারিজ করেছে৷ কিন্তু একই মামলায় বাদল চৌধুরী আদালতে জামিন পাননি এবং তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন৷ অ্যাডভোকেট জেনারালের কথায়, বাদল চৌধুরীর আইনজীবী ত্রিপুরা হাইকোর্টে অগ্রিম জামিনের আবেদন জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু অসুস্থতার কারণে বাদলবাবু হাসপাতালে ভর্তি হলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে৷ তাই, বাদল চৌধুরীর পক্ষে তাঁর স্ত্রী হাইকোর্টে পুনরায় অগ্রিম জামিনের আবেদন জানান৷ অরুণকান্তি বলেন, হাসপাতালে পুলিশ বাদলবাবুকে গ্রেফতার করলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাঁকে আদালতে তোলা সম্ভব হয়নি পুলিশের৷


তিনি বলেন, আগামী ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট খুলবে৷ ওইদিন পুলিশের কাছে ওই মামলার কেস ডায়েরি তলব করেছে আদালত৷ তাঁর কথায়, এরই মধ্যে বাদলবাবুকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হলে তাঁকে স্পেশাল কোর্টে তোলা হবে৷ কারণ, তাঁর পুলিশ রিমান্ডের আবেদন ইতিমধ্যে জমা দেওয়া রয়েছে৷ তিনি বলেন, আজ হাইকোর্টে পিপি রতন দত্ত সশরীরে হাজিরা দিয়েছিলেন৷ আদালত তাঁকে বাদল চৌধুরীর জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করার অধিকার দিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *