রাজ্যে কর্মচারী বঞ্চনা সমানে চলছে, অভিযোগ কংগ্রেসের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ অক্টোবর৷৷ জমানা বদলালেও ত্রিপুরায় সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চনার অবসান হয়নি৷ কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ডিএ তরতর করে বাড়লেও ত্রিপুরায় নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর ১ শতাংশ ডিএও পাননি সরকারি কর্মচারীরা৷ বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলনে এইভাবেই বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকারের বিরুদ্ধে নিশানা করেছেন কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক৷ এদিন তিনি বলেন, মানুষের রোজগার কমছে, অথচ সরকার আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে বিদ্যুতেও মাশুল বাড়িয়েছে৷ এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আগামীকাল কংগ্রেস বিক্ষোভ প্রদর্শন করবে বলে তিনি জানিয়েছেন৷


সুবলবাবু বলেন, প্রায় ১৮ মাসের সরকার, অথচ এতেই রাজ্যবাসীর নাভিশ্বাস উঠে গেছে৷ তাঁর অভিযোগ, ত্রিপুরাবাসীর পকেট ফাঁকা হয়ে রয়েছে, অথচ সরকার আয় বাড়ানোর নানা ধান্দা করছে৷ তিনি বলেন, সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিলে ডিউটি চার্জ অতিরিক্ত যুক্ত করেছে ত্রিপুরা সরকার৷ ঘরোয়া গ্রাহকদের জন্য ৫ শতাংশ এবং বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য সাড়ে সাত শতাংশ মোট বিলের ওপর অতিরিক্ত মাশুল গুনতে হবে৷ তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ত্রিপুরা সরকারের এই জনবিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আগামীকাল প্রতিবাদ আন্দোলনে নামবে কংগ্রেস৷ এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে স্থির হয়েছে, জানান তিনি৷


এদিকে, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বঞ্চনার প্রসঙ্গ তুলে ত্রিপুরা সরকারকে একহাত নিলেন সুবল ভৌমিক৷ তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আবারও ডিএ বাড়িয়েছে৷ তাতে এক লাফে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ডিএ ১৭ শতাংশ হয়েছে৷ অথচ ত্রিপুরার সরকারি কর্মচারীরা ১ শতাংশও ডিএ পাচ্ছেন না৷ তাঁর কথায়, ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর নামকাওয়াস্তে বেতন কমিশন চালু করে ডিএ দেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে৷ তাতে কর্মচারীরা আর্থিক দিক দিয়ে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন৷