নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৩ সেপ্ঢেম্বর ৷৷ আবারও পনের বলি এক গৃহবধূ৷ ঘটনা মন্দিরনগরী উদয়পুরের পালাটানা এলাকায়৷ মৃত গৃহবধূর নাম পুজা দাস৷ অভিযুক্ত স্বামী শুভঙ্কর দাস সহ অন্যান্যদের আটক করতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে৷ অভিযুক্তদের আটক এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন ও এলাকাবাসী৷ গত দেড়বছর আগে প্রয়াত বিশ্বজিৎ দাসের মেয়ে পূজা দাসের (১৯) সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল উদয়পুরের পালাটানার সুনীল দাসের ছেলে শুভঙ্কর দাসের৷

প্রথমে নিজেদের পছন্দ৷ পরবর্তী সময়ে সামাজিকভাবে বিয়ে দেয় পরিবারের লোকজন৷ বিয়ের সময় ছেলের এবং তার বাড়ির লোকজনদের যা যা দাবি ছিল সবই মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ বিয়ের কয়েকমাস ভালই চলছিল দাম্পত্য জীবন৷ তারপর থেকেই শুরু হয় পূজা দাসের উপর অত্যাচার৷ পুজার স্বামী পেশায় গাড়ি চালক৷ কয়েকদিন পর পর পুজার স্বামী শুভঙ্কর দাস পুজাকে বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে অত্যাচার চালাতো৷ গত কিছুদিন আগে পূজা গোমতী জেলা হাসপাতালে এক মৃত সন্তানের জন্ম দেয়৷ এরপর থেকেই পুজার উপর অত্যাচারের মাত্রা আরো বেড়ে যায়৷ এরই শেষ পরিণতি ঘটে রবিবার রাতে৷
শুভঙ্করের জেঠু মন্টু দাস রবিবার রাত্রি প্রায় দেড়টায় পুজার বাপের বাড়িতে খবর দেন যে, পুজার শারীরিক অবস্থা খুবই খারাপ৷ তাকে গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে৷ সেখানে তার বাপের লোকজনদের আসার জন্য বলা হয়৷ গভীর রাত্রিতেই পুজার মা সোমারানী দাস জেলা হাসপাতালে আসেন৷ এসে দেখেন মেয়ের মৃতদেহ৷ সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বাড়ির লোকজনদের৷ সোমবার পুজার বড় মামা লিটন দাস জানান, পুজাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মেরে ফেলেছে৷ এ ব্যাপারে পুজার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনদের বিরুদ্ধে উদয়পুর মহিলা থানায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ এদিকে সোমবার ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তোলে দেওয়া হয়েছে৷ উদয়পুর মহিলা থানার পুলিশ একটি মামলা গ্রহণ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ এদিকে উত্তেজিত জনতা গোমতী জেলা হাসপাতাল চত্বরেই মৃতার স্বামীকে উত্তম-মধ্যম দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন৷

