নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ সেপ্ঢেম্বর৷৷ বাধারঘাট উপনির্বাচনে সমস্ত বুথের ভেতরে এবং বাইরে ওয়েব ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছে সিপিএম৷ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তরণিকান্তিকে লেখা চিঠিতে লোকসভা নির্বাচনে ১৬৮টি বুথে পুনর্নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে এনে ভোটে কারচুপি আটকানোর জন্য ওই দাবি তুলেছে সিপিএম৷ আজ দলের রাজ্য সম্পাদক গৌতম দাস অবজারভার এবং মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে এই দাবি পেশ করেছেন৷ এদিকে, সিপিআইএম-এর পশ্চিম জেলা কমিটি আজ বাধারঘাট কেন্দ্রে উপনির্বাচনে অবজারভার এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সাথে দেখা করে অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের দাবি জানিয়েছেন৷

সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক চিঠিতে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক রিগিং হয়েছে, ওয়েব ক্যামেরার রিপোর্টে তার প্রমাণ মিলেছে৷ তাই, ১৬৮টি বুথেই পুনভর্োটের ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন৷ তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি, বাধারঘাট কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কোনও বুথেই ওয়েব ক্যামেরা বসানো হবে না৷ এতে ভোটে রিগিং বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন৷ তাই প্রত্যেক বুথের ভেতরে এবং বাইরে ওয়েব ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্ণে এই ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি৷
এর সাথে তিনি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থারও দাবি জানিয়েছেন৷ তিনি বলেছেন, উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন খুবই জরুরি৷ এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি৷ সাথে যোগ করেন, পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে৷
এদিকে, আজ প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ পবিত্র করের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন অবজারভার এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সাথে দেখা করে প্রত্যেক ভোটারের ভোট সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন৷
এ-বিষয়ে পবিত্র কর বলেন, গণতন্ত্রে প্রত্যেক ভোটারের নিজের পছন্দমোত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে৷ সেই অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক৷ তাঁর কথায়, ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট পর্ব সম্পন্ন করার দাবি জানানো হয়েছে৷ তাছাড়া, ভোটে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছেন তাঁরা৷ এদিন প্রতিনিধি দলে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন সাংসদ ঝরনা দাস বৈদ্য, প্রাক্তন দুই সাংসদ শঙ্করপ্রাসাদ দত্ত এবং জিতেন্দ্র চৌধুরী৷

