আগরতলা, ১৮ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : বাধারঘাট কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ১০০ শতাংশ বুথে ভিডিওগ্রাফি হবে। শুধু তাই নয়, পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থাও সুনিশ্চিত করা হয়েছে। ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক শ্রীরাম তরণিকান্তি আজ এ-কথা জানিয়েছেন। বিরোধী সিপিএম সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের প্রশ্নে ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে লেখা চিঠিতে ওই দাবি জানিয়েছিল। এ-বিষয়ে শ্রীরাম তরণিকান্তি সাফ জানিয়েছেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষ্যে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাতে, নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে কারোর কোন অভিযোগ থাকার সুযোগ মিলবে না।

প্রসঙ্গত, সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক গতকাল চিঠিতে ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিককে বলেছেন, লোকসভা নির্বাচনে ব্যাপক রিগিং হয়েছে, ওয়েব ক্যামেরার রিপোর্টে তার প্রমাণ মিলেছে৷ তাই, ১৬৮টি বুথেই পুনর্ভোটের ঘোষণা করেছিল নির্বাচন কমিশন৷ তিনি বলেন, সম্প্রতি আমরা জানতে পেরেছি, বাধারঘাট কেন্দ্রের উপনির্বাচনে কোনও বুথেই ওয়েব ক্যামেরা বসানো হবে না৷ এতে ভোটে রিগিং বাড়বে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন৷ তাই প্রত্যেক বুথের ভেতরে এবং বাইরে ওয়েব ক্যামেরা বসানোর দাবি জানিয়েছেন তিনি৷ তাঁর কথায়, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে এই ব্যবস্থা করা খুবই জরুরি৷
এর সাথে তিনি পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থারও দাবি জানিয়েছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, উপনির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন খুবই জরুরি৷ এই বিষয়টি সুনিশ্চিত করার জন্য ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি৷ সাথে যোগ করেন, পোলিং এজেন্টদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকে৷
এদিকে, গতকাল প্রাক্তন উপাধ্যক্ষ পবিত্র করের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল নির্বাচন অবজারভার এবং ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সাথে দেখা করে প্রত্যেক ভোটারের ভোট সুনিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছিলেন। এ-বিষয়ে পবিত্র কর বলেছিলেন, গণতন্ত্রে প্রত্যেক ভোটারের নিজের পছন্দমোত প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক। তাঁর কথায়, ভয়মুক্ত পরিবেশে ভোট পর্ব সম্পন্ন করার দাবি জানানো হয়েছে। তাছাড়া, ভোটে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুনিশ্চিত করারও দাবি জানিয়েছিলেন তাঁরা।
আজ ত্রিপুরার মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক বলেন, বাধারঘাট কেন্দ্রে উপনির্বাচন হলেও ভোট প্রক্রিয়ার নিয়মে কোন ফেরবদল হয়নি। নির্বাচন নিয়ে কমিশনের সমস্ত নির্দেশিকা পালন করা হবে। তাঁর কথায়, নির্বাচনে ওয়েবকাস্টিংয়ের যে নিয়ম রয়েছে তাও পালন করা হবে। এ-ক্ষেত্রে বাধারঘাট উপনির্বাচনেও ভিডিওগ্রাফির পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাঁর দাবি, উপনির্বাচনে ১০০ শতাংশ বুথে ভিডিওগ্রাফির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সে মোতাবেক সংস্থা বাছাই করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাদের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ভোট নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী ভোটার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবে, সে-কথা আজ তিনি জানিয়েছেন। সাথে তিনি যোগ করেন, কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী ছাড়াও ত্রিপুরা পুলিশ এবং টিএসআর বাহিনী ভোট নিরাপত্তায় মোতায়েন করা হবে। নির্বাচন দপ্তর সূত্রে খবর, বাধারঘাট কেন্দ্রে উপনির্বাচনে ৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে রাজ্যে পৌছে গিয়েছে।

