৩৭০ ধারা দেশের জন্য বিপদজনক ছিল : অমিত শাহ

রাঁচি, ১৮ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার যখন জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তি বিল নিয়ে এসেছিল, তখন কংগ্রেস এবং জেএমএম এর বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছিল।  সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইকের পরে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রতিবাদ করেছিলেন এবং তার প্রমাণ চান।  কাশ্মীর ইস্যুতে বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়ে অমিত শাহ জানিয়েছেন, ১৯৫০ সাল থেকেই বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট ছিল। ৩৭০ ধারা দেশের জন্য বিপদজনক ছিল।  এ কারণেই মোদী সরকার এই ধারা বিলুপ্তি করেন। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করে বলেন, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডে যখনই রাহুল গান্ধী ভোট চাইতে যাবেন, তাকে অবশ্যই ৩৭০ ধারা নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে  রাহুল গান্ধীকে। 

‘জোহর জন আশিরবাদ যাত্রা’ শুরু করার পর বুধবার জামতারায় জনসভায় বক্তব্য রাখছিলেন অমিত শাহ। এদিন তিনি বলেন, রঘুবর দাস এবং অর্জুন মুন্ডা এই যাত্রায় যাত্রা করছেন।  এই যাত্রা ঝাড়খণ্ডের প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে তিনটি ভাগে ভ্রমণ করবে এবং আবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ সরকার গঠন করে রাঁচিতে পৌঁছাবে।  বছরের পর বছর ধরে, ঝাড়খন্ডকে একটি পৃথক রাজ্য, একটি উন্নত রাজ্য হিসাবে গড়ে তোলার দাবি ছিল, তবে কংগ্রেস ঝাড়খণ্ডের দাবি কখনই মেনে নেয়নি।  অটলজি যখন কেন্দ্রে সরকার গঠন করেছিলেন, তখন তিনি এই দাবিটি পূরণ করেন।  ঝাড়খণ্ড তৈরি করেছিলেন অটল বিহারী বাজপেয়ী। আমি নির্দ্বিধায় বলতে পারি যে প্রধানমন্ত্রী মোদী ঝাড়খণ্ডকে উন্নত করার জন্য  উন্নয়নের কাজ করে গিয়েছেন।  ডাবল ইঞ্জিনের সরকারের কারণে এটি সম্ভব হয়েছিল। কারণ উপরে মোদীজির সরকার এবং নীচে রঘুবার দাশ রয়েছে।  তাই এখন আবার সময় এসেছে ডাবল ইঞ্জিনের সরকার গঠনের।

অমিত শাহ জানিয়েছেন,  রঘুবর দাসের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ডে অনেকগুলি উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে।  জান ধন খাতা, এলইডি লাইট, গ্যাস সংযোগ, দরিদ্রদের বাড়ি স্বাস্থ্য সুবিধা পৌঁছিয়ে দিয়েছে, একলব্য স্কুল, আর্চারি স্কুল, এইমস, বিমানবন্দর সম্পর্কিত কাজ হয়েছে। রাজ্যে স্থিতিশীল সরকার ছিল বলেই তা সম্ভব হয়েছে। ঝাড়খণ্ড এখন পুরোপুরি ভাবে মাওবাদী মুক্তি হয়েছে। 

কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের সঙ্গে বর্তমান কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন  থাকা এনডিএ সরকার উন্নয়নের ফারাক তুলে ধরে অমিত শাহ জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ অর্থ কমিশনে ইউপিএ সরকার ঝাড়খণ্ডকে ৫৫,২০০ কোটি টাকা দিয়েছে। আর মাত্র পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার  চর্তুদশ অর্থ কমিশনে ঝাড়খণ্ডকে ১ লক্ষ, ৪৫ হাজার, ৩৪৩ কোটি টাকা দিয়েছে।  তিনি জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ডকে দেশের এক নম্বর রাজ্য হিসেবে পরিণত করবে বিজেপি।