রাজ্যে সুশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরির জন্য ক্লাবগুলিকে দায়িত্ব নিতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ সেপ্টেম্বর৷৷ ক্লাবগুলিকে নিজ নিজ এলাকা নেশামুক্ত এবং নারী নির্যাতনমুক্ত রাখার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে৷ সেই সাথে আদর্শ ত্রিপুরা গঠনের মানসিকতা সম্পন্ন পাড়া, গ্রাম, শহর গড়ে তুলতে হবে৷ খেলাধূলাকে নতুন দিশায় নিয়ে যেতে হবে৷ ফিট ইণ্ডিয়া, ফিট ত্রিপুরা গড়ে তুলতে হবে৷ তবেই এক দীপা কর্মকার নয় সহ’ দীপা কর্মকার ত্রিপুরার মাটি থেকে উঠে আসবে৷ আজ আগরতলার নেতাজী চৌমুহনীস্থিত এন এস আর সি সি’র ইণ্ডোর হলে যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া দপ্তরের উদ্যোগে সারা রাজ্যের রেজিস্ট্রিভুক্ত প্রাইমারি স্পোর্টস বডি (ক্লাব) গুলির মধ্যে ক্রীড়া সামগ্রী বিতরণী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷ তিনি বলেন, রাজ্য সরকার ক্রীড়া দপ্তরের মাধ্যমে ১,১৩৫টি প্রাইমারি স্পোর্টস বডিকে ক্রীড়া সামগ্রী দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে৷

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ক্লাব সংসৃকতি আমাদের রাজ্যে বহু পুরনো৷ ক্লাবগুলিকে একত্রিত করে সমাজে ভালো কিছু করা সম্ভব৷ সেই লক্ষ্যে বর্তমান রাজ্য সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷ তিনি বলেন, রাজ্যে সুুশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করাও সরকারের অন্যতম লক্ষ্য৷ সবকা সাথ, সবকা বিকাশ এই শ্লোগানটিকে মাথায় রেখে ক্লাবগুলিকে তার নিজস্ব অঞ্চলে খেলাধূলার পরিবেশ তৈরি করার জন্য বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে৷ তিনি বলেন, সুুশৃঙ্খল সমাজ গঠনে শুধুমাত্র পুলিশকে দায়িত্ব পালন করলেই হবে না, পাশাপাশি ক্লাবগুলিকেও তাদের নির্দিষ্ট এলাকায় যাতে কোন ধরণের অবৈধ কার্যকলাপ প্রশ্রয় না পায় সেই দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে৷ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ক্লাবগুলিকে আন্তর্জাতিক বা দেশের স্বীকৃত খেলাধূলাগুলির উপরই বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে৷ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজী চাইছেন দীপা কর্মকার, আর্শিয়া দাস, হীমা দাস, পি টি উষার মতো খ্যাতি সম্পন্ন আরও খেলোয়াড় যেন ক্লাবগুলির উদ্যোগেই উঠে আসে৷ ক্লাবগুলিও সেই দিশাতেই কাজ করবে বলে মুখ্যমন্ত্রী আশাবাদী৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজী চলতি বছরের ২৯ আগস্ট সারা দেশব্যাপী ফিট ইণ্ডিয়া অভিযান কর্মসূচি শুরু করেছেন৷ ভারতবর্ষের শেষ প্রান্তে বসবাসকারী ব্যক্তিটির কাছে ফিট থাকার বার্তা পৌঁছে দিতে চাইছেন এই কর্মসূচির মাধ্যমে৷

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব বলেন, রাজ্যে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর খেলাধূলার মানোন্নয়নে ক্রীড়া দপ্তর বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে৷ রাজ্যের যুব সম্পদায়কে মাঠমুখী করার জন্য ক্লাবগুলির হাতে বিভিন্ন খেলাধূলার সামগ্রী তুলে দেওয়া হচ্ছে৷ তিনি বলেন, জাতীয় সুকল গেমসে অনুর্ধ-১৭ বালিকা ফুটবল প্রতিযোগিতায় রাজ্য প্রথম স্থান অধিকার করেছে৷ জাতীয় সুকল গেমসের দুটি আসর যথাক্রমে জিমনাস্টিক এবং ফুটবল আসর সফলভাবে করার সুুবাদে সুকল গেমস ফেডারেশন অব ইণ্ডিয়া ত্রিপুরাকে পুরসৃকত করেছে৷

তিনি বলেন, ক্লাবগুলির সাথে ক্রীড়া দপ্তরের একটি সুুসম্পর্ক গড়ে উঠুক এবং অদূর ভবিষ্যতেও তা যেন অটুট থাকে সেই দিকেও দ’ষ্টি দিতে হবে৷ রাজ্যের যুব সম্পদায় যেন নেশার প্রতি আসক্ত না হয়ে খেলাধূলার প্রতি আক’ষ্ট হয়ে উঠে সেই দিকেও নজর রাখতে হবে৷ খেলাধূলার পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও সরকার গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়া দপ্তরের সচিব ড. দেবাশীষ বসুু৷ স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্রীড়া দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দ চৌধুরী৷ অনুষ্ঠান মঞ্চে ১৫টি ক্লাবের ক্লাব প্রতিনিধিদের হাতে ক্রীড়া সামগ্রী তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্য অতিথিগণ৷ সব মিলিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার মোট ১,১৩৫টি প্রাইমারি স্পোর্টস বডিকে ক্রীড়া সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে৷