ব্রু শরণার্থীদের মিজোরামে প্রত্যাবর্ত, রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে স্মারকলিপি ভারত হিতরক্ষা অভিযানের

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ সেপ্ঢেম্বর৷৷ উত্তর ত্রিপুরা জেলার কাঞ্চনপুরে এবং পানিসাগরে বিভিন্ন শিবিরে আশ্রিত ব্রু শরণার্থীদের নিরাপদে মিজোরামে প্রত্যাবর্তন এবং তাঁদের সুরক্ষিত জীবন-যাপন সুনিশ্চিত করার দাবিতে ত্রিপুরার রাজ্যপাল রমেশ বৈশ-এর কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে ইন্দোর ভিত্তিক ভারত হিতরক্ষা অভিযানের সদস্যরা৷ পাশাপাশি ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন তাঁরা৷ ত্রিপুরায় গতকাল থেকে তাঁরা ব্রু শরণার্থীদের জন্য গণধরনা ও গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন৷


ওই অভিযানের সদস্য সত্যম দুবেদি-র কথায়, প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে শরণার্থীর জীবন-যাপন করছেন মিজোরামের ব্রু জনজাতিরা৷ সে-রাজ্যে তাঁদের জীবন সংশয়ে, তাই ত্রিপুরায় তাঁরা পালিয়ে এসেছিলেন৷ কিন্তু, তাঁদের কোনও উন্নয়ন হয়নি৷ তাঁর অভিযোগ, ব্রু জনজাতিদের উপর অত্যাচার হয়েছে৷ অথচ, মিজোরাম সরকার নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে৷ তাই, এখন যেহেতু তাঁরা মিজোরামে ফিরে যাচ্ছেন, তাঁদের নিরাপদ ও সুরক্ষিত জীবন-যাপন সুনিশ্চিত করতে হবে৷ পাশাপাশি, রোজগারের ব্যবস্থা করতে হবে তাঁদের, দাবি জানান তিনি৷


তাঁর বক্তব্য, মিজোরামে ব্রু জনজাতিদের জন্য পৃথক স্বশাসিত জেলা পরিষদের দাবিতে সারা দেশে গণস্বাক্ষর অভিযান চালানো হয়েছে৷ ওই গণস্বাক্ষর সংবলিত দাবি সনদ প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷
অভিযানের আরেক সদস্য ভুবন দেশমুখ বলেন, আজ ত্রিপুরার রাজ্যপাল রমেশ বৈশ-এর সাথে দেখা করে ব্রু জনজাতিদের স্বার্থ সম্পর্কিত স্মারকলিপি তাঁর হাতে তুলে দিয়েছি৷ তিনি বলেন, রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী ৯ সেপ্ঢেম্বর রাষ্ট্রপতির সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হবে ৷ ওই সময় এ-বিষয়ে তিনি রাষ্ট্রপতির সাথে কথা বলবেন৷ অপর সদস্য ভূপেন্দ্র পোদ্দারের কথায়, ১ থেকে এই কর্মসূচি চলছে৷ চলবে ১২ সেপ্ঢেম্বর পর্যন্ত ৷ তিনি বলেন, রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি পৌঁছে দেওয়ার পর কাঞ্চনপুর এবং পানিসাগরে বিভিন্ন শিবিরে আশ্রিত ব্রু শরণার্থীদের সাথে আমরা দেখা করব ৷

তার পর মিজোরামে গিয়ে সে রাজ্যের রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও স্মারকলিপি তুলে দেওয়া হবে ৷
ওই অভিযানের প্রত্যেক সদস্যের সাফ কথা, দুই দশক বাদে মিজোরামে ফিরে গিয়ে ব্রু জনজাতিদের জীবন-জীবিকা নিরাপদে কাটবে, তা কেন্দ্রীয় সরকারকেই সুনিশ্চিত করতে হবে৷ তবে, মিজোরাম সরকারও এ-ক্ষেত্রে দায় এড়াতে পারবে না৷ তাঁদের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সমস্ত ব্যবস্থা করা হোক, তাই এই অভিযান শুরু হয়েছে, বলেন তাঁরা৷