![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2019/08/DSC_0986-1848x1224-1024x678.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৯ আগস্ট৷৷ আসন্ন শারদোৎসব উপলক্ষ্যে গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে রাজ্যের রেশনশপগুলিতে অতিরিক্ত চাল, ডা, চিনি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ জনগণের সার্বিক সুবিধার্থে বর্তমানে রেশনশপের মাধ্যমে সবরবাহকৃত সামগ্রীর পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়ে বেশকিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য দপ্তর৷ আজ মহাকরণে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান খাদ্য মন্ত্রী মনোজ কান্তি দেব৷
তিনি বলেন, বর্তমান রাজ্য সরকার গণবন্টন ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে৷ গণবন্টন ব্যবস্থায় ইতিমধ্যেই মসুর ডাল এবং চিনি দেওয়া হচ্ছে৷ শারদোৎসবের প্রাক্কালে সেপ্ঢেম্বর মাসে রাজ্যের প্রতিটি রেশনশপের মাধ্যমে প্রত্যেক রেশনকার্ডধারীদের কার্ড পিছু অতিরিক্ত ৫ কেজি চাল প্রতি কেজি ১৩ টাকা দরে দেওয়া হবে৷ ৯ লক্ষাধিক রেশনকার্ডধারী পরিবার এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন৷ এছাড়াও সেপ্ঢেম্বর মাসে কার্ড পিছু ১ কেজির পরিবর্তে ২ কেজি মসুর ডাল দেওয়া হবে৷ চিনিও অক্টোবর মাসের বরাদ্দ সহ কার্ড পিছু ২ কেজি করে দেওয়া হবে৷
তাছাড়া জুলাই ও আগস্ট মাসের বরাদ্দকৃত চিনি চলতি মাসে দেওয়া হচ্ছে৷ জুলাই ও আগস্ট এই দুই মাসের চিনি ভোক্তারা সেপ্ঢেম্বর, ২০১৯ পর্যন্ত সংগ্রহ করতে পারবেন৷ মহারাষ্ট্র, বিহার ও আসামের বন্যার কারণে এতদিন চিনি সরবরাহ ক্ষেত্রে কিছুটা অসুবিধা হয়৷ বর্তমানে সরকার তার সুরাহা করে ভোক্তাদের কাছে চিনি সরবরাহ সুনিশ্চিত করেছে৷ অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও অন্তোদয় ও প্রায়োরিটি হাউসহোল্ড ভোক্তারা কার্ড পিছু ৫০০ গ্রাম সুজি এবং এ পি এল সহ সকল শ্রেণির ভোক্তারা কার্ড পিছু ২ কেজি করে রেশনশপগুলিতে ত্রিপুরার উৎপাদিত চাপাতা বিক্রি করা হবে৷ ত্রিপুরেশ্বরী ব্র্যান্ডের গুণমানসম্পন্ন এই চাপাতা প্রতি ১০০ গ্রাম প্যাকেট ১৭ টাকা দরে পাওয়া যাবে৷ ভোক্তারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী চাপাতা নিতে পারবেন৷ পরবর্তীতে সব মহকুমার রেশনশপগুলিতে এই চাপাতা সরবরাহ করার চিন্তা ভাবনা রয়েছে সরকারের৷
খাদ্য মন্ত্রী জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার তাদের সময়কালের মধ্যে রাজ্যের কৃষকদের স্বার্থে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ প্রথম পর্যায়ে ১০,৪০০ মেট্রিক টন ধান নূ্যনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ক্রয় করা হয়েছে৷ এই মরসুমে ১৬ হাজার মেট্রিক টনের অধিক ধন ক্রয় করা হয়েছে৷ আগামী খরিফ মরসুমে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ধান ক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে৷ এই উদ্যোগ নেওয়ার ফলে রাজ্যের কৃষকদের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হয়েছে বলে তিনি উল্লেক করেন৷ সাংবাদিকদের এক প্রশ্ণের জবাবে খাদ্য দপ্তরের সচিব ড. দেবাশিষ বসু জানান, বর্তমানে রাজ্যে ৮০ দিনের চাল মজুত রয়েছে৷ পেট্রোপণ্যের যোগান স্বাভাবিক৷
রেলের টি এবং শিলচ থেকে ১৪টি করে ট্রাকের মাধ্যমে রাজ্যের গ্যাস এজেন্সীগুলে এলপিজি’র যোগান দেওয়া হচ্ছে৷ আগামী ডিসেম্বরেরর মধ্যেই বোধজংনগর বটলিং প্ল্যান্ট পুরোপুরি চালু হয়ে যাবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন৷ তিনি জানান, রাজ্য সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার এবং ইন্ডিয়ান ওয়েল কর্পোরেশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের মংলা বন্দর হয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে এল পিজি বুলেট রাজ্যের বিশালগড় প্ল্যান্টে পৌছবে৷