![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2018/11/Ratan-Lal-Nath.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ আগস্ট৷৷ শুধুমাত্র এনসিইআরটির পাঠ্যক্রম চালু করেই রাজ্যের শিক্ষার ক্ষেত্রে গুণগত মান বাড়ানো সম্ভব নয়, প্রয়োজন আরও কিছু বিষয়ের৷ বিশেষ করে মাধ্যমিত পরীক্ষায় যারা বসবে তাদরে জন্য আরও কিছু বিষয় রাখা হচ্ছে যা সিবিএসই এর গাইডলাইন অনুসরণ করেই৷ বুধবার মহাকরণে সাংবাদিকদের সাথে এই কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ৷
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, শিক্ষা দপ্তর চালু করতে চলেছে ‘বছর বাঁচাও’ কর্মসূচী৷ এই কর্মসূচি মূলত সেই সব পরীক্ষার্থীদের জন্য যারা মাধ্যমিকে তিনটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে৷ সেই সাথে দপ্তর চালু করতে যাচ্ছে পরীক্ষার্থীদের পাস নম্বর ৮০ এর মধ্যে ৩৩ করার৷ সাথে ২০ নম্বরেরও বিভাজন থাকছে ২০১০-২১ শিক্ষাবর্ষে৷
মন্ত্রী আরও জানান, সেই ২০ নম্বরের বিভাজন হবে চারটি ক্যাটাগরিতে৷ তার মধ্যে ৫ নম্বর থাকবে সুকলে উপস্থিতির উপর৷ তাতে দেখা গেছে কোন নম্বর পাবে না যারা ১-৬০ শতাংশ দিন সুকলে উপস্থিত থাকবে৷ অন্যদিকে, ২ নম্বর থাকবে ৬১-৭০ শতাংশের উপস্থিতির জন্য, ৭১-৯০ শতাংশ উপস্থিতর জন্য থাকবে ৪ নম্বর এবং ৯১-১০০ শতাংশ উপস্থিতির ভিত্তিতে নম্বর দেওয়া হবে ৫৷ তাছাড়া ৫ নম্বর থাকবে সান্মাসিক পরীক্ষায়, ৫ নম্বর থাকবে প্রি-বোর্ড পরীক্ষা এবং ছাত্রছাত্রীদের নোটবুকের উপর নির্ভর করে শিক্ষকরা দেবেন বাকি ৫ নম্বর৷
শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ আরও জানান, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার প্রশ্ণপত্র করবে দুটি সেটে সিবিএসই’র ধাঁচে৷ দিব্যাঙ্গনদের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তা হল প্রতিবন্ধি পরীক্ষাথীদের সহায়তার জন্য যেসব ছাত্রছাত্রী রাইটার হিসেবে নিযুক্ত হবে তাদের সাম্মানিক ৫০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা করা হয়েছে৷ তাছাড়াও গণিতের দুটি বিষয় করা হবে৷ সেই সাথে নতুন করে ছয়টি ঐচ্ছিক বিষয় যুক্ত করা হবে৷ সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে পর্ষদের পরীক্ষায় বসতে হলে কোন ছাত্রছাত্রীকে কমপক্ষে ৬০ শতাংশ উপস্থিত থাকতে হবে সুকলে৷