![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2017/04/Tripura.jpg)
নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ আগস্ট৷৷ দেশের অন্যান্য রাজ্যের মতো ত্রিপুরাতেও বিজেপি আইপিএফটি জোট সরকার কার্য্যকর করতে চাইছে এসমা তথা এসেনসিয়াল সার্ভিস মেন্টেনেন্স অ্যাক্ট ১৯৬৮৷ যার ফলে সাধারণ নাগরিকদের প্রয়োজনীয় পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোন ধরনের বিঘ্ন না ঘটে৷
এসমা হচ্ছে ভারতের সংসদের পাশ করা এমন একটি আইন যার মাধ্যমে রাজ্য সরকার যেকোন সরকারী কর্মচারী কিংবা কর্মচারীদের সংগঠনের তরফ থেকে আন্দোলনের নামে ধর্মঘট, বন্ধ ডাকার ক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টি করে সাধারণ জনগণের নাগরিক সুযোগ সুবিধা যাতে বিঘ্নিত না হয় সেদিকে কঠোর নজরদারী রাখা৷
মহাকরণে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় আইনমন্ত্রী রতন লাল নাথ বলেন, এই আইন সাধারণ জনজীবনে যাতে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় সেজন্য তৈরী করা হয়েছে৷ বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও পরিবহণ পরিষেবার ক্ষেত্রে৷
যদি দেখা যায় সরকারী কর্মচারীদের একটি এংশ সাধারণ মানুষের স্বার্থের পরিপন্থি কোন আন্দোলন কর্মসূচী গ্রহণ করে তাহলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের শীর্ষ আধিকারীক একটি নোটিফিকেশন জারী করতে হবে এসমা লাগুর ব্যাপারে৷ এই আইন মোতাবেক শাস্তির বিধানও রয়েছে৷ দেখা গিয়েছে, কোন সরকারী কর্মচারীকে যদি দোষি হিসেবে পাওয়া যাও এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে ওই কর্মচারীকে তিন বছরের কারাদন্ড এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে৷ এই আইন প্রথমে ছয় মাসের জন্য কার্যকর করা হয়৷ পরবর্তী সময়ে তার মেয়াদ বাড়ানো যায়৷ কেরালা, রাজস্থান, মহারাষ্ট্র, দিল্লী, গোয়া প্রভৃতি রাজ্যে এই আইন কার্য্যকর করা হয়েছে৷