নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ আগস্ট৷৷ পোশাক বিতর্কে উত্তাল রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় কলেজের ক্যাম্পাস চত্বর৷ কলেজের নির্দিষ্ট পোশাক না পরে ধর্মীয় পোশাক পরে আসায় বাধা দেয় কলেজ কর্তৃপক্ষ৷ সেই বাধা মানতে নারাজ সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা৷ তাদের বক্তব্য ঐতিহ্য হচ্ছে পাঞ্জাবি পরা৷ তাই তারা এই পোশাক পরেই কলেজে ক্লাস করবে৷ এই নিয়ে আজ কলেজ শুরুর প্রথম থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয়৷
সংখ্যালঘু ছাত্র ছাত্রীরা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে ঘেরাও ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন শুরু করে৷ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে কৈলাসহর থানার পুলিশ৷ দীর্ঘ তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর বিষয়টি উধর্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনার প্রতিশ্রুতি দিলেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ৷ এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সোমা দেবের মতামত জানতে চাইলে তিনি বলেন যে প্রতিটি বিদ্যালয় ও কলেজের নির্দিষ্ট পোশাক করা আছে৷ সেই নিয়ম অনুযায়ী পোশাক পরে বিদ্যালয় ও কলেজে ক্লাস করতে হয়৷ রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় এর পাশাপাশি রাজ্যের অন্যান্য কলেজগুলিতে সকল ধর্মের বর্ণের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনা করে৷ প্রত্যেকেই নিজেদের ধর্মীয় পোশাক পরে যদি নিজেদের পছন্দ মতো পোশাক পরে কলেজে আসে তাহলে কলেজের ড্রেস অফ কন্ডাক্ট ভঙ্গ হবে৷ তাই যদি একটি বিশেষ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাকের ক্ষেত্রে কোন আইন শিথিল করা হয় সেটা উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ করতে পারবে৷
কলেজ কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই৷ তবে এই সংখ্যালঘু ছাত্র ছাত্রীরা কোনো ধরনের আইন মানতে রাজি নয়৷ তাদের দাবি তারা তাদের এই ঐতিহ্য পাঞ্জাবি ও কি পরে কলেজে ক্লাস করবে৷ তাদের দাবি না মানা হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে৷ তবে শিক্ষাঙ্গনে এ ধরনের পোশাক বিতর্ক ধর্মের নামে সুরসুরি দিয়ে শিক্ষাঙ্গনের সুষ্ঠু ও সুষ্ঠু পরিবেশ পরিস্থিতি বিনষ্ট করতে চাইছে কিছু স্বার্থান্বেষী লোক৷ এমনটাই অভিমত শিক্ষানুরাগীদের৷
রামকৃষ্ণ মহাবিদ্যালয় রাজ্যের দ্বিতীয় প্রাচীনতম মহাবিদ্যালয়৷ যুগ যুগ ধরে এখানে বিভিন্ন ধর্মের ও সম্প্রদায়ের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোা করে আসছে৷ কিছুদিন পূর্বে শহরের প্রাচীনতম রাধাকিশোর ইন্সটিটিউশনে এই পোশাক বিতর্কে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়েছিল৷ সেখানেও কতিপয় ছাত্র ধর্মীয় পোশাক পড়ে বিদ্যালয়ে ক্লাস করতে আসে৷ সুকল কর্তৃপক্ষ সেই বাধা অমান্য করে ধর্মীয় পোষাক পরেই ক্লাস করে৷ পরবর্তী সময় এস এম সির মিটিং এর সিদ্ধান্তের পরও তারা নিজেদের মতামতে অনড় থাকে৷ এভাবে শিক্ষাঙ্গনে ধর্মীয় হস্তক্ষেপের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে স্বাভাবিক পঠন-পাঠন৷