![](https://jagarantripura.com/wp-content/uploads/2018/03/Congress-993x548.png)
নয়াদিল্লি, ২৩ আগস্ট (হি.স.) : ‘৭০ বছরে এমন সংকটজনক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আসেনি।’ এমনই চাঞ্চল্যকর বক্তব্য নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমারের। আর ‘অভূতপূর্ব’ পরিস্থিতির এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগল কংগ্রেস। টুইট করে দেশের অর্থনীতি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।
সরকারি তথ্য ও আধিকারিকদের এহেন মন্তব্যকে সামনে রেখে এবার ময়দানে নামল কংগ্রেস। নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান তথা প্রবীণ অর্থনীতিবিদ রাজীব কুমার দেশের আর্থিক মন্দা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, গত ৭০ বছরে নগদ সঙ্কট তলানিতে। যা অভূতপূর্ব বলে ব্যাখ্যা রাজীব কুমারের। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর আর্থিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শমিকা রবিও একই সুরে জানান, ‘স্টাকচারাল স্লোডাউন’-এর মুখোমুখি দেশ। চিন্তাভাবনা না করে কাজ করা প্রয়োজন।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এক হাত নিয়ে বলেন, সরকারের আর্থিক উপদেষ্টারাই দেশের অর্থনীতির মন্দা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। তাঁদের সমাধান গ্রহণ করার পরমার্শ দেন রাহুল। লোভীদের হাতে টাকা না তুলে দরিদ্রদের সাহায্য করা উচিত। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও মোদী সরকারকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন তোলেন, অর্থনীতি শোচনীয় এমন অবস্থা কেন স্পষ্ট করুক বিজেপি সরকার। শিল্পের অবস্থা খারাপ, ডলার নিরিখে ক্রমাগত পতন হচ্ছে টাকার, চাকরি হারাতে চলেছে অনেকে। কে এই ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেবে প্রশ্ন তোলেন প্রিয়ঙ্কা।
এ দিন নতুন করে আর্থিক সংস্কারের পথে না হাঁটলে, সামনে সমূহ বিপদ এ কথা কার্যত মেনে নিলেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। মন্দা বাজারের মূল কারণ নগদ সঙ্কট। যা গত ৭০ বছরে এমন অভূতপূর্ব পরিস্থিতি তৈরি হয়নি বলে মন্তব্য করেন দেশের অন্যতম অর্থনীতিবিদ। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজীব কুমার বলেছেন, নগদের অভাবে দেশের সব আর্থিক সংস্থাগুলির অবস্থা টলমল। এমন পরিস্থিতি গত ৭০ বছরে তৈরি হয়নি।
প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজনও উদ্বেগ প্রকাশ করেন দেশের আর্থিক পরিস্থিতি নিয়ে। বিশ্ব বাজারের মন্দা অর্থনীতির প্রভাব তো রয়েছেই, কিন্তু ব্যাঙ্ক নয় এমন আর্থিক সংস্থাগুলিকে চাঙ্গা করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি বলে পরামর্শ দেন রঘুরাম রাজন। তাঁর কথায় ত্রাণ প্রকল্প দীর্ঘ মেয়াদি সমাধান নয়। এতে রাজকোষের ঘাটতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করে এবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ময়দানে বিরোধী দলগুলি।